
মো.তাসলিম উদ্দিন সরাইল, (ব্রাহ্মণবাড়িয়া): ব্রাহ্মণবাড়িয়া মানুষ’ জানে ভালোবাসা কি? মানুষের মর্যাদা’মানুষের প্রতি সম্মান’মানুষের মনের গহীনে থাকা আত্মসম্মান রক্ষা করতে, মানুষের সাথে মানুষের সৃষ্টিজগতের মেলবন্ধনে আজীবন স্মৃতি করে রাখে।ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ইতিহাস আর ঐতিহ্যের সাথে যারা মিশেছে এই এলাকার মানুষের সাথে হৃদয় আলিঙ্গনে তারা জানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মানুষের প্রেম- ভালোবাসা,যার কথা বলছি তিনি সদ্য বিদায় মান্যবর জেলা প্রশাসক এর আজ বুধবার (১২ জানুয়ারি) বিদায় অনুষ্ঠানের ছবি,ভালোবাসার ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীকে শুধু কাঁদিয়েছেন না “কেঁদেছেন আমাদের প্রিয় মানুষ প্রিয় ব্যক্তিত্ব প্রিয় ডিসি হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন। বিদায় লগ্নে এই চোখের পানি ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী কোনদিন ভুলতে পারবেন না। বিদায় : জীবনের অনিবার্য বাস্তবতা” যদিও তিন অক্ষরের ছোট্ট একটি শব্দ-বিদায়। মাত্র তিন অক্ষর। কিন্তু শব্দটির আপাদমস্তক বিষাদে ভরা। শব্দটা কানে আসতেই মনটা কেন যেন বিষণ্ণ হয়ে ওঠে। এমন কেন হয়? কারণ এই যে,বিদায় হচ্ছে বিচ্ছেদ। আর প্রত্যেক বিচ্ছেদের মাঝেই নিহিত থাকে নীল কষ্ট। বিদায় জীবনে শুধু একবারই নয়, এক জীবনে মানুষকে সম্মুখীন হতে হয় একাধিক বিদায়ের। সে-ই যে জন্ম লগ্ন থেকে বিদায়ের সূচনা, তারপর জীবন পথের বাঁকে বাঁকে আরো কত বিদায় যে অনিবার্য হয়ে আসে। মান্যবর জেলা প্রশাসক ব্রাহ্মণবাড়িয়া যে দিন প্রথম আসেন,গণমাধ্যমে প্রকাশ করেছে তিনি বলে ছিলেন,আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে সাংবাদিকদের চোখে দেখি? হয়তো অনেকে বলতে পারেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কে নিয়ে ! আজ বিদায় লগ্নে জেলা প্রশাসকে’র অশ্রুসিক্ত চোখ প্রমাণ করেছে। আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সত্যিই মানুষকে মূল্যায়ন করতে জানে। আপনারা যারা অনেক কিছু বলেন, আজকে বিদায় অনুষ্ঠানে যারা উপস্থিত ছিলেন তারা জানে মান্যবর জেলা প্রশাসক হায়াত- উদ-দৌলাখাঁন স্যার কি বলেছেন এ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বাসীর ভালোবাসায়। কর্মচাঞ্চল্য মানবিক মানুষ ডিসি স্যারের বদলিজনিত কারণে”বিদায়বেলা আপনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি। আপনার বিদায়ের ছবিটি আমরা দেখেছি। মানবশিশু ভুমিষ্ট হয়েই কাঁদতে থাকে। কেন সে কাঁদে? সে তো কাঁদবেই। এতদিন মায়ের নাড়ির সঙ্গে তার যে বন্ধন ছিল সেটি যে আজ ছিন্ন হল। এভাবে জীবনের পরতে পরতে ছিন্ন হয় আরো কত প্রিয় বন্ধন!
তবে এ বিদায়ের বেলায় কষ্টের মাঝেও এক রকম আনন্দ থাকতে পারে যদি সান্তনার সংকট না থাকে। এই সান্তনা আপনার সফলতার সান্ত্বনা। বিদায় বলতে হলে মনে আসে শেষ বিদায় যেহেতু সবচেয়ে কষ্টের, সবচেয়ে বিষাদের তাই জীবনের অন্যান্য বিদায়ের সময় শেষ বিদায়ের কথা স্মরণ করতে হবে। যাতে তখন কোনোরূপ পরিতাপ নিজেকে দগ্ধ না করে অতীত জীবনের কর্মের জন্য। তাহলেই জীবনের খন্ড খন্ড বিদায়গুলো সার্থক হয়ে উঠবে নিশ্চয়।
-সূরা লোকমান ৩৪ – কুরআন মজিদে মহান আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন … ‘কোনো মানুষ জানে না, সে আগামীকাল কী উপার্জন করবে এবং কোনো মানুষ জানে না, সে কোন স্থানে মৃত্যুবরণ করবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বজ্ঞ। তিনি সর্ববিষয়ে সম্যক অবহিত। তাই বলি ভুলে গেলেও আপনাকে আমরা মনে করবো।।
পড়েছেনঃ ১১১