চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ে শেখ রাসেল দিবসের সভা অনুষ্ঠিত

মোঃ ইমরান হোসেন: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন ও শেখ রাসেল দিবস-২০২২ উপলক্ষে ১৮ অক্টোবর মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের উদ্যোগে আলোচনা সভা অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সুজন বড়–য়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ওয়াজেদ চৌধুরী অভি, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এমওডিসি ডা. মোহাম্মদ নুরুল হায়দার, সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডা. নওশাদ খান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এসআইএমও ডা. এফ.এম জাহিদুল ইসলাম।

আলোচনা সভার পূর্বে শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে একটি র‌্যালি বের করা হয়। জেলা ইপিআই সুপারিনটেন্ডেন্ট মোঃ হামিদ আলী, এমটিপিআই কাজল পাল, প্রধান সহকারী (প্রেষনে) সাহিদুল আলম, প্রধান সহকারী মোঃ আবু তৈয়ব, জুনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী মাসুদ আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষাবিদ প্রবীর মিত্র, স্যানিটারী ইন্সপেক্টর টিটু পাল, প্রোগ্রাম অর্গানাইজার গাজী মোঃ নূর হোসেন, পরিসংখ্যানবিদ উশ্রী দাশ গীতা, পিএটু সিভিল সার্জন মফিজুল আলম, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর তাপস রায় চৌধুরী, স্টোর ইনচার্জ জাহিদুল ইসলাম, এন্টোমনোজিক্যাল টেকনিশিয়ান মোঃ মাঈনুদ্দিন, স্বাস্থ্য পরিদর্শক শক্তি বড়–য়া, স্বাস্থ্য পরিদর্শক রীনা ভট্টাচার্যসহ সিভিল সার্জন কার্যালয়ের বিভিন্ন স্তরের কর্মচারীবৃন্দ আলোচনা সভা ও র‌্যালিতে অংশ নেন।

সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে অর্জিত এ দেশের স্বাধীনতা যারা সহ্য করতে পারেনি তারাই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে স্বপরিবারে হত্যা করে। ইতিহাসের এ বর্বরতম ও ন্যাক্কারজনক হত্যাকান্ড থেকে ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরী স্কুলের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র ১০ বছর ১০ মাস বয়সী ছোট্ট শিশু শেখ রাসেলও রেহায় পায়নি। বঙ্গবন্ধুর সাথে নরপিশাচরা তাকেও নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। সে দিন মায়ের কাছে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে রাসেলের ছোট্ট বুক বুলেটের আঘাতে ঝাঁঝরা করে দিয়েছিল। তিনি বলেন, শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে বঙ্গবন্ধুর উত্তরাধিকারী হতো, আমরা মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন একজন নেতা পেতাম। এটা জেনে ঘাতকেরা নির্মমভাবে হত্যা করেছে। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্য। রাজনৈতিক কারণে বঙ্গবন্ধু মাসের পর মাস, বছরের পর বছর জেলে কাটিয়েছেন। ফলে ছোট্ট শিশু রাসেল পিতৃ স্নেহ থেকে ও বঞ্চিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যাকারীদের মধ্যে যারা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে তাদেরকে গ্রেফতার করে বিচারের মুখোমুখি করা এখন শুধু সময়ের দাবী।