নগরীর সড়কগুলোর উপর আমদানি-রপ্তানি পরিবহনে সড়কগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ ও সম্প্রসারণের দায়িত্ব চট্টগ্রাম বন্দরকে নেয়ার আহবান মেয়রের

সময়ের নিউজ ডেস্কঃ চট্টগ্রামের লাইফ লাইন খ্যাত পোর্ট কানেক্টিং (অলংকার হতে নীমতলা) পর্যন্ত সড়কের উদ্বোধনকালে সিটি মেয়র মো. রেজাউল করি চৌধুরী বলেছেন, দক্ষতা বৃদ্ধি করে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের গতি বাড়ানোর পাশাপাশি কাজের গুনগত মান বজায় রাখার উপর গুরুত্ব দিতে হবে। নগরীর পোর্ট কানেক্টিং সড়কটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। দেশের আমদানি-রপ্তানিবাহী গাড়িগুলো এই সড়ক দিয়ে আসা-যাওয়া করে। দীর্ঘ কয়েক বছর পূর্বে সড়কটির সংস্কার কাজ শুরু করা হলেও নানান জটিলতার কারণে যথাসময়ে এই সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয়নি। পুনরায় দরপত্র আহবান করে জাইকার অর্থায়নে অলংকার হতে নীমতলা পর্যন্ত ৫.৪০কি.মি. দৈর্ঘ্য সড়কের গড় প্রস্থ ৩৬.৫০মিটারের ৬ লেইনের সড়কটি ১৭৯.৭০ কোটি টাকা ব্যয় হয়।

নগরীর প্রথম এই সড়কে পথচারী পারাপার নিরাপদ করার জন্য আধুনিক প্রযুক্তির থ্রিডি জেব্রা ক্রসিং সংযুক্ত করা হয়েছে। আজ বুধবার বিকেলে নীমতলা এলাকায় পোর্ট কানেক্টিং সড়কের উপ-প্রকল্প কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন-প্যানেল মেয়র আফরোজা কালাম, কাউন্সিলর নুরুল আমিন, অধ্যাপক মোহাম্মদ ইসমাইল, মোহাম্মদ ইলিয়াছ, সংরক্ষিত কাউন্সিলর শাহনুর বেগম, হুরে আরা বিউটি, তসলিমা বেগম নুরজাহান, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা ও সিটি মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, অতি. প্রধান প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবু ছালেহ, মুনিরুল হুদা, ঝুলন কুমার দাশ, নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ার জাহান ও তৌহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

তিনি আরো বলেন, নগরীর সড়কগুলোর ধারন ক্ষমতা অনুযায়ী দশ হতে বার টন ওজনের গাড়ি চলাচলের উপযোগী। কিন্তু বন্দরের পণ্য বহনকারি ট্রাক, লরিগুলো পঁচিশ থেকে ত্রিশ টন ওজনের মালামাল বহন করে চলাচল করছে। এতে গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কগুলো সংস্কারের পর অতি স্বল্প সময়ে মধ্যে নষ্ট হয়ে চলাচলের অনুপোযগী হয়ে পড়ে।

মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম আমাদের দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী, এর মধ্য দিয়েই সঞ্চালিত হয় দেশের অর্থনৈতিক জীবনীশক্তি। দেশের রপ্তানী বাণিজ্যের সিংহভাগ সংঘটিত হয় চট্টগ্রামের উপর দিয়ে। চট্টগ্রাম নগরীর সড়কগুলোর উপর সারা দেশের আমদানি-রপ্তানি পরিবহন চলাচলের কারণে সড়কগুলোর রক্ষণা-বেক্ষণ ও সম্প্রসারণের দায়িত্ব চট্টগ্রাম বন্দরকে নেয়ার আহবান জানান।