সরাইলের রাজনীতি চলবে ব্যারিষ্টার রুমিন ফারহানার কথায়

মো. তাসলিম উদ্দিন, সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া): সাত্তার এমপি লোভে পড়ে সরাইলের মানুষের সাথে বেঈমানী করছে; এখন থেকে সরাইল ও এখানকার রাজনীতি চলবে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার কথায়,উপজেলা শাহবাজ পুর ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল শেষে আলোচনা সভায় বিএনপির নেতা আবুল কাসেমের বক্তব্যে ভিডিওটি সামাজিক ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। ব্যানারে একপাশে ব্যারিষ্টার রুমিন ফারহানার অন্য পাশে উকিল আবদুস সাত্তার ভূইঁয়ার ছবি। এই ভিডিওটিতে ভাইরাল হয়েছে আব্দুস সাত্তার ভূইঁয়ার ছবিতে জুতাপেটার ব্যাপারটি নিয়ে উপজেলার অনেক নেতা কর্মীরা দু:খ ও নিন্দা প্রকাশ করেছেন।

এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ২ আসনে উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া পদত্যাগ করার পর থেকে নানান আলোচনা সমালোচনা রয়েছে মাঠ পর্যায়ে। এরই মধ্যে উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়ার দলীয় পদত্যাগ, দলীয় বহিষ্কার, সম্প্রতি উপজেলা বিএনপির সংবাদ সম্মেলন করে অবাঞ্চিত ঘোষনা করা। ব্যারিষ্টার রুমিন ফারহানার ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়ার ছবিতে জুতা পিটা নিয়ে বিএনপির রাজনীতি রয়েছে সরগরম।

এই ব্যাপারে আলামিন বলেন,এই বিষয়ে কিছু অতি উৎসাহী কুলাঙ্গার যারা কিছুদিন আগেও উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়ার পা চাটত তারা আজকে উকিল আব্দুস সত্তার ভূঁইয়ার ছবি কে জুতাপেটা করে। তাদের ও একদিন সময় আসবে অপেক্ষা করুন।উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব নুর আলম বলেন,উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া দলের সাথে বেইমানি করেছে,এটা মেনে নেওয়া যায় না।কেন্দ্রীয় বিএনপি সিদ্ধান্তে উনার ব্যাপারে সবকিছু করা হয়েছে।

এ সময় তিনি বলেন, স্বতন্ত্র নির্বাচনে উনি নির্বাচনী মাঠে আসলে আমরা প্রতিহত করব। আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া এখন আর আমাদের দলের কিছুই না। সরাইল সদর ইউপি বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো.জাকারিয়া বলেন, দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।উকিল আব্দুস সাত্তারের ব্যাপারে যা কিছু হয়েছে সব দলের সিদ্ধান্তে হয়েছে। উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়ার ছবিতে জুতা পিটা করাটা ঠিক হয়নি।

সরাইল সদর ইউপি চেয়ারম্যান ও সাবেক উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জব্বার বলেন,পাঁচবার এমপি উকিল আবদুস সাত্তার ভূইঁয়া, একজন প্রবীণ নেতা উনি পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছে। এরপরও উনাকে বহিষ্কার অবাঞ্চিত এগুলা করা কি ঠিক হয়েছে কিনা আমি জানিনা। এই সিদ্ধান্ত দলে কিভাবে নিয়েছেন।

এসময় তিনি বলেন, উপজেলা কমিটি কে বা কাকে নিয়ে করেছে এগুলো আমরা জানি না,আমি সাবেক ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক, সাবেক বিএনপির সভাপতি, যুবদলের সভাপতি তারা ও জানেনা। তিন মুখ দিয়ে এক কমিটি করেছে। অরুয়াইল ও পাকশিমুল ইউনিয়ন বিএনপি কমিটি দিয়েছে উকিল আবদুস সাত্তার ভূইঁয়াকে কিছুই জিজ্ঞাসা করেন নাই। এই নিয়েও উনার রাগ অভিমান আছে। আমরা আশা করি সাত্তার ভাই রাগ অভিমান ভেঙ্গে চলে আসবে। সাবেক এ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক বলেন,দলে কিছু লোকের নতুন নেতৃত্বের জন্য বিএনপির আজ এই দশা। দুঃখের বিষয় হল যে একজন প্রবীণ নেতার ছবিতে রুমিন ফারহানার ব্যানারে তার কিছূ অনুসারীরা অতি উৎসাহে জুতাপেটা করে সামাজিক যোগাযোগ ফেইসবুকে ভাইরাল করেছে। এ বিষয়টি বিএনপি না সরাইলের কোন মানুষই মেনে নেয়নি। আমরা কোনদিনও ভাবতে পারিনি উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়া কে এমন ভাবে অপমান করবে তারা। এটা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

সরাইল উপজেলা বিএনপির একাংশের সভাপতি মো.আনিছুর ইসলাম ঠাকুর বলেন, কেন্দ্রীয় বিএনপি সিদ্ধান্তে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সংসদ থেকে তিনি পদত্যাগ করে আবার স্বতন্ত্র মনোনয়ন নিয়েছেন। দলের সিদ্ধান্ত উকিল আবদুস সাত্তার ভূইঁয়া না মানায় উপজেলা বিএনপি সংবাদ সম্মেলন করে তাকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করছেন।

ব্যারিষ্টার রুমিন ফারহানার বিষয়ে তিনি বলেন, বিএনপির আদর্শ মেনে যেকোন ব্যক্তি আসতে পারে।আর রুমিন ফারহানা বিএনপি’র একজন নেত্রী উনি আসলে আমাদের কোন আপত্তি নেই। তৃণমূল বিএনপির সবাইকে নিয়ে উনার জন্য আমরা কাজ করব।