কোম্পানীগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত ১৩

মোঃ ইমাম উদ্দিন সুমন, নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রæপের মধ্যে সংঘর্ষ ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৩জন আহত হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আহতদেরকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার (১১ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার ৭নং মুছাপুর ইউনিয়নের বাংলাবাজারের জিরো পয়েন্টে এই ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, মুছাপুর ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ড আ্ধসঢ়;ওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক খোকন, জহিরুল হক, হামিদুল হক, সিরাজুল হক, নুরউদ্দিন, সিফাত, আলী আব্বাস চান মিয়া,আব্দুল হাই, সোহেল, অহিদ, নুরুদ্দিনসহ ১৩জন আহত হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১০ দিন আগে মুছাপুর ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক খোকনের ভাই গরু বেপারী সেলিম উড়িরচর গরু কিনতে যাওয়ার পথে দেখে মুছাপুর ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) মো. আলী আজগর জাহাঙ্গীরের ছোট ভাই জালাল ও তাদের মুছাপুর ক্লোজারের মাছের আড়তের ম্যানেজার সোহেল এক ব্যক্তিকে হেনেস্তা করছে।

এই ঘটনা দেখে প্রতিবাদ করে সেলিম। পরে তাকেও তারা মারধর করে। বিষয়টি সে বাড়িতে এসে তার ভাই খোকন কে জানায়। বুধবার সকালের দিকে জাহাঙ্গীর মেম্বারের অনুসারী এক ব্যক্তি বাংলাবাজারে এলে পূর্ব বিরোধের জের ধরে সেলিম জালালের এক অনুসারীকে আটক করে রাখে। পরে খবর পেয়ে জালালের নেতৃত্বে তার শতাধিক অনুসারী বাংলাবাজারে এসে আওয়ামী লীগ নেতা খোকন সহ কয়েক জনের উপর হামলা চালায়।

এই সময়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে উভয় গ্রæপের অন্তত ১৩জন আহত হয়। তাৎক্ষণিক আহতদের উদ্ধার করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ভর্তি করা হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়েও জালালের লোকজন প্রতিপক্ষের লোকজনের উপর হামলা চালানোর চেষ্টা করে।

মুছাপুর ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ড আ্ধসঢ়;ওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক খোকন বলেন, ২০১৮ সালের দিকে জলদস্যু জালাল ও তার ভাই জাহাঙ্গীর আওয়ামী লীগে যোগ দেয়। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সে চার মাইল দূরে থেকে শতাধিক জলদস্যু নিয়ে বাংলাবাজারে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমাদের ৮জন লোক আহত হয়। তারা এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে।

জালাল অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, সেলিম গরু চোর। আজকে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এই নিয়ে একটি সালিশী বৈঠক ডাকা হয়। তারা ইউনিয়ন পরিষদ অফিসে উল্টো হামলা চালায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় ইউপি সদস্য (মেম্বার) মো. আলী আজগর জাহাঙ্গীর বলেন,খোকন বাংলাবাজারে আমাদের একজন লোককে আটক করে রাখে। পরে এই ঘটনাকে কেন্দ করে সংঘর্ষ হয়।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.সাদেকুর রহমান বলেন, এই ঘটনায় এখনো কেউ কোনো অভিযোগ দায়ের করেনি।