সন্দ্বীপে জেলেদের বিক্ষোভ মিছিল ও নির্বাহী কর্মকর্তাকে স্মারকলিপি প্রদান

 বাদল রায় স্বাধীন,সন্দ্বীপসন্দ্বীপ উপকুলে জলদস্যুতা দুর করতে কোস্টগার্ড নিয়োজিত করা হয়েছে বিগত কয়েক বছর পুর্বে। তাদের সাবস্টেশন স্থাপনের পরে জলদস্যুতা লোপ পেলেও তারা এখন জলদস্যু সুলভ আচরন করছে জেলেদের সাথে।এ যেন জলদস্যুতার নতুন রুপ। বিভিন্ন সময়ে তারা অভিযানের নামে জেলেদের অমানবিক ভাবে মারধর, তাদের জাল পুড়ে ফেলা, মাছ ও জাল ছিনিয়ে নিয়ে অন্যত্র বিক্রি ও ফ্রিজার্ভ করে সুবিধা মতো সময়ে বিক্রি করে পকেট ভরার মতো অভিযোগ তুলেছে তারা। এছাড়াও জেলেদের মেরে নদীতে ফেলে দেওয়ার পর আবার তুলে মারধর করা এ যেন নিত্য নৈর্মেন্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। জেলেদের উপর কোস্টগার্ডের দস্যুসুলভ এসব অমানবিক অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে প্রায় দুই হাজার নারী ও পুরুষ মিলে সন্দ্বীপ উপজেলায় এসে বিক্ষোভ প্রদর্শন,বিক্ষোভ সমাবেশ ও নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে স্মারক লিপি প্রদান করেছে জেলে প্রতিনিধিরা।

আজ ১৫ জানুয়ারী তাদের অত্যাচার বন্ধের দাবীতে সন্দ্বীপের প্রায় ৩৭ টি জেলে পাড়ার জেলেরা গ্রাম থেকে বিক্ষোভ মিছিল করতে করতে এসে উপজেলায় এক বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে তারা।তাদের আহাজারী দেখে সমাবেশ স্থলে এসে নির্বাহী কর্মকর্তা সম্রাট খীসা নিজে স্বয়ন এসে তাদের অভিযোগ শুনেন এবং মৎস্যকর্মকর্তা বিহীন বেআইনী ভাবে কোস্টগার্ডের এ সমস্ত অভিযানের প্রতিকারের আশ্বাস দেন তিনি। জেলারা ওনার কাছে পরে লিখিত ভাবে কোস্টগার্ডের অত্যাচার থামাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে লিখিত ভাবে স্মারকলিপি প্রদান করেন। বিক্ষোভ প্রদর্শন কালে জেলে নেতা দুলাল সেরাং, জয়দেব দাস,ভবরন্জন,ভুবন জলদাস বলেন আমরা গরীর অসহায় দুঃস্থ জেলে। মৎস্য আহরন আমাদের মুল পেশা।

সন্দ্বীপে প্রায় ২০ হাজার মৎস্যজিবী আছে এবং তাদের পরিবারের লোক সংখ্যা প্রায় এক লক্ষ ৫০ হাজার। তাদের অন্যকোন কাজে অভিজ্ঞতা না থাকায় তারা পেশা পরিবর্তন করতে পারছেনা। অন্যদিকে কোস্টগার্ডের এসব উপদ্রপ তাদের জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে। তাই অর্ধাহারে, অনাহারে তাদের জীবন কাটছে। এছাড়া বিভিন্ন এনজিও,সমিতি, ও বর্নিকদের থেকে জাল কেনার জন্য চরাসুদে তারা লোন নিয়ে সেগুলো পরিষােধ করতে পারছেননা। তাই কিস্তীর চাপে অনেকে আত্মহত্যা প্রবন হয়ে উঠেছে, অনেকে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে। তারা বলেন আমরা সব জেলেরা আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত,বর্তমানে আওয়ামীলিগ ক্ষমতায় থাকার পরও আমরা নির্যাতনের স্বীকার হচ্ছি তাই প্রধানমন্ত্রী বরাবরে তাদের জীবিকা নিশ্চিত করতে কোষ্টগার্ডের অত্যাচার ও নিষেধাজ্ঞা তুলে না নিলে তাদের দেশ ত্যাগের সুযোগ করে দেওয়ার দাবী পর্যন্ত উথ্বাপন করেন তারা।