
প্রেস বিজ্ঞপ্তি : সমাজকে মাদক, সন্ত্রাস, অস্থিরতা ও সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত করতে সংস্কৃতি চর্চাকে বেগবান করতে হবে। মনুষ্যত্বের উন্মেষ ঘটাতে ও সভ্যতার যাত্রাকে অব্যাহত রাখতে কোমলমতি শিশুদের সংস্কৃতিবান করে গড়ে তোলা আমাদের দায়িত্ব। এ দায়িত্ব সমাজকে নিতে হবে, মা বাবাকে নিতে হবে। পুরো সমাজ ব্যবস্থাকে তিনজনই পারে সুন্দর ও কল্যাণের পথে এগিয়ে নিতে। তারা হলেন মা-বাবা ও শিক্ষক। মানবিক সমাজ গড়ার মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে ও প্রগতির ধারাকে অব্যাহত রাখা আজকের দিনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
আজ সকালে চট্টগ্রাম থিয়েটার ইনিস্টিটিউট হলে সঙ্গীত পরিষদের ৮৪তম বার্ষিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আ.জ.ম নাছির উদ্দিন উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন। পরিষদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) প্রকৌশলী আবদুল মতিনের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের সকাল ৯.৩০টায় মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন আলিয়াঁস ফ্রঁসেন্স দ্য চট্টগ্রামের পরিচালক মি: ব্রুনো লাক্রাম্প, পরিষদের পক্ষ থেকে ৮৪তম বার্ষিক অনুষ্ঠানে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা ফোক একাডেমির সাধারণ সম্পাদক ও বিশিষ্ট লোক সঙ্গীত শিল্পী ড. উত্তম কুমার সাহা ও বাংলাদেশের প্রবীণ উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত শিল্পী উস্তাদ নির্মলেন্দু চৌধুরীকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রাম কেন্দ্রের আঞ্চলিক পরিচালক এস এম মোস্তফা সরোয়ার। সম্মানিত অতিথি ছিলেন অদম্য আগামীর সভাপতি ও লেখক এম তারিকুল ইসলাম জুয়েল। বাংলাদেশ-ভারত ইতিহাস ও ঐতিহ্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম। ২০২২ সালে পরিষদের বার্ষিক পরীক্ষায় বিভিন্ন বিষয়ে মেধা তালিকায় ১ম, ২য়, ৩য় স্থান অধিকারী শতাধিক ছাত্র-ছাত্রীদের সার্টিফিকেট ও পুরস্কার প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিষদের সম্পাদক তাপস হোড়। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক সদস্য অসীম কুমার রায়, প্রকৌশলী প্রদীপ দত্ত, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দক্ষিণ জেলা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক প্রদীপ কুমার দাশ, জামালখানের ওয়ার্ড কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, মীর নাজমুল আহসান রবিন, ওমর আলী ফয়সাল, সাজেদুল হক হাসান, বিশিষ্ট নজরুল সঙ্গীত শিল্পী নওসিন তাবাসুম ওমি। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন অধ্যাপক দেবাশিস্ রুদ্র। অনুষ্ঠানে ড. অসীম কুমার সাহা দু’বাংলার সাংস্কৃতিক জগতকে সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য সকলের প্রতি উদ্বাত্ত আহ্বান জানান। শ্রী অসীম কুমার রায় পরিষদের কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করে পরিষদ পরিচালনার নিমিত্তে ২ লক্ষ টাকা অনুদান প্রদান করেন। আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দিন সহ সম্মানিত অতিথিবৃন্দ পরিষদের ২০২২ সালের বার্ষিক পরীক্ষায় ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অধিকারী শতাধিক ছাত্র-ছাত্রীকে ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান করেন।
আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে ‘জয় হোক জয় হোক-শান্তির জয় হোক, সাম্যের জয় হোক’ শীর্ষক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পরিষদের ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ সঙ্গীত পরিবেশন করেন। এই পর্বে বিশিষ্ট নজরুল সঙ্গীত শিল্পী নওসিন তাবাসুম ওমি সঙ্গীত পরিবেশন করেন। উপস্থিত ছিলেন আলিয়েঁন্স ফ্রঁসেজ দ্য চট্টগ্রাম’র উপ পরিচালক প্রফেসর ড. গুরুপদ চক্রবর্ত্তী। দ্বিতীয় পর্বে বিকেল ৪টায় মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন আগরতলা ফোক একাডেমির সাধারণ সম্পাদক ড. উত্তম কুমার সাহা। এই পর্বে ‘হার জিত চিরদিন থাকবেই’ শীর্ষক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পরিষদের ছাত্র-ছাত্রীরা সঙ্গীত পরিবেশন করেন। ড. উত্তম কুমার সাহা অনুষ্ঠানে লোক সঙ্গীত পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিচালনায় ছিলেন পরিষদের শিক্ষক-শিক্ষিকা অধ্যক্ষ প-িত স্বর্ণময় চক্রবর্তী, অন্তরা দাশ, মনীষা রায়, বনানী চক্রবর্ত্তী, জয় প্রকাশ ভট্টাচার্য্য, চন্দ্রিমা বিশ্বাস, অনজন দাশ, প্রিয়ম কৃষ্ণ দে, শম্পা ভট্টাচার্য্য, ত্রিদিব বৈদ্য, প্রান্ত আচার্য, দীপ্ত দত্ত, দিপ্তি মজুমদার, পিন্টু ঘোষ, দেবাশিস্ রুদ্র, শিউলী মজুমদার, পলাশ চক্রবর্তী, রিপন সেনগুপ্ত, তন্বী বড়–য়া, হ্যাপী ঘোষ, মৌসুমী কর, সুখরঞ্জন হালদার, অভিজিৎ দাশ। অভিভাবক-অভিভাবিকা ছাড়াও বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থী পরিষদের দিনব্যাপী অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।