
প্রশাসক কার্যালয়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এল.এ) মোঃ আবু রায়হান দোলন। পরিবার পরিকল্পনা চট্টগ্রাম জেলার উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আবুল কালামের সভাপতিত্বে ও রাউজান উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা লিকসন চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পরিবার পরিকল্পনা চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক (সিসি) ডা. ছেহেলী নার্গিস, সহকারী পরিচালক (সাধারণ) মোঃ নাজমুল হাসান ও সংবাদ সংস্থা এনএনবি’র চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান রনজিত কুমার শীল। কর্মশালার প্রথম পর্বে চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও মহানগরের বিভিন্ন
থানার ওয়ার্ড পর্যায়ে নবনিয়োগ প্রাপ্ত পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক, পরিবার পরিকল্পনা সহকারী, পরিবার কল্যাণ সহকারী, পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা ও আয়াগণ অংশ নেন। তারা
প্রত্যেকে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
এবার চট্টগ্রাম জেলার ১৫ উপজেলার বিভিন্ন ওয়ার্ড, নগরীর ডবলমুরিং ও পাঁচলাইশ থানার বিভিন্ন ওয়ার্ডে এবার ২০০ জন পরিবার পরিকল্পনা কর্মী নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তন্মধ্যে পরিবার কল্যাণ সহকারী ১৩২ জন, পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক ৩০ জন, পরিবার পরিকল্পনা সহকারী ৫ জন, পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা ১১ জন ও আয়া ২২ জন। কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এল.এ) মোঃ আবু রায়হান দোলন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরলস প্রচেষ্টায় পরিবার
কল্যাণ সেবা অনেকদুর এগিয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পরিবার পরিকল্পনা সংক্রান্ত সরকারী সেবা আরও দৃশ্যমান করতে সততা, দক্ষতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে মাঠ পর্যায়ে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে। মাত্র ৯০ টাকার বিনিময়ে তারা অত্যন্ত স্বচ্ছতার সাথে নিয়োগ পেয়েছে। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে আমরা প্রত্যেকে নিজের উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করলে সরকার কাঙ্খিত লক্ষ্যে
পৌঁছতে পারবে। আজ ১৩ ফেব্রæয়ারি সোমবার সকাল ১০টায় নগরীর আগ্রাবাদস্থ জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রামে নবনিয়োগ প্রাপ্ত
মাঠ কর্মীদের পরিবার পরিকল্পনা সেবা বিষয়ক ২ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বাড়িতে অবস্থান করে যারা সরকারী চাকুরী করে তারা অত্যন্ত ভাগ্যবান। এ বিষয়টি বিবেচনায় রেখে নিজ নিজ কর্মস্থল এলাকায় মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণ, বাল্যবিবাহ রোধ, গর্ভবতী ও প্রসূতি মায়েদেরকে পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদানসহ জনগণকে সচেতন করতে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদেরকে ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সেবা দিতে হবে।