কৃষি জমির টপ সয়েল কর্তনের সংবাদ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে :চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক

সময়ের নিউজ ডেস্কঃ চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেছেন, এক শ্রেণির অসাধু চক্র গোপনে কৃষি জমির টপ সয়েল কেটে ইটভাটা ও অন্যান্য স্থানে নিয়ে যাওয়ার কারণে চাষাবাদ ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি জমিগুলো অনাবাদি হয়ে যাচ্ছে। এখন থেকে কৃষি জমির টপ সয়েল কর্তনের সংবাদ পেলে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ জনপ্রতিনিধিদেরকে সতর্ক থাকতে হবে। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ী কৃষি জমিতে কোন ধরণের স্থাপনা করা যাবেনা। সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের পতিত জমিতে সব্জি চাষ ও বৃক্ষের চারা রোপনের আওতায় এনে ভূমির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

আজ ১৪ ফেব্রæয়ারি মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে প্রশাসন জিরো টলারেন্স। অবৈধ দখলদারদের কবল থেকে সরকারী জমি ও পাহাড় উদ্ধারে জেলা প্রশাসনের কার্যক্রম
অব্যাহত রয়েছে। অবৈধভাবে বালি উত্তোলন, সরকারী রাস্তা দখল করে যারা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলবে তাদেও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। মালিমিডিয়ার মাধ্যমে বিগত মাসের
খাতওয়ারী অপরাধ চিত্র তুলে ধরেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) রাকিব হাসান। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে
অনুষ্ঠিত আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় অন্যান্যেও মধ্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) কবীর আহম্মেদ, সিএমপি’র এডিসি (দক্ষিণ) নোবেল চাকমা,
মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ, জেলার ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম সরওয়ার কামাল দুলু, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোঃ ওয়াজেদ
চৌধুরী অভি, দি চিটাগাং চেম্বার পরিচালক অহিদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন, সিনিয়র জেল সুপার মোঃ মঞ্জুর হোসেন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ
সম্পাদক মোঃ আবদুল মান্নান, উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ মোতালেব (সাতকানিয়া), তৌহিদুল হক চৌধুরী (আনোয়ারা), ফারুক চৌধুরী (কর্ণফুলী), উপজেলা নির্বাহী
অফিসার মোহাম্মদ মামুন (বোয়ালখালী) মাহফুজা জেরীন (মিরসরাই), স¤্রাট খীসা (সন্ধীপ), শাহাদাত হোসেন (সীতাকুÐ), সাব্বির রাহমান সানি (ফটিকছড়ি), মোঃ শাহিদুল আলম ( হাটহাজারী), আবদুস সামাদ সিকদার রাউজান), আতাউল গণি ওসমানী (রাঙ্গুনিয়া), মোঃ আতিকুল মামুন (পটিয়া), নাছরীন আক্তার (চন্দনাইশ), ফাতেমা তুজ জোহরা (সাতকানিয়া), শরীফ উল্লাহ (লোহাগাড়া), পৌর মেয়র মোঃ আইয়ুব বাবুল (পটিয়া) মোহাং জহুরুল ইসলাম ( বোয়ালখালী), সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমে যাচ্ছে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজবিুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর থেকে ঝড়ে পড়া রোধ, সাক্ষরতার হার বৃদ্ধি ও মানসম্মত শিক্ষা বাস্তবায়নে যথেষ্ট আন্তরিক। বৈশ্বিক মহামারী করোনার কারণে দীর্ঘ দেড় বছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা ডিভাউসের মাধ্যমে অনলাইনে পড়ালেখার সমন্বয় করে নিয়েছে। এর পরেও
শিক্ষাথীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পড়ালেখার গতি কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পূনঃরায় খুলে দিলে শিক্ষার্থীরা আবারও পড়ালেখায়
মনোযোগী হয়ে উঠবে। আমরা সকলে নিজ নিজ অবস্থান থেকে আন্তরিকভাবে কাজ করলে

আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে সাক্ষরতার হার শতভাগে উন্নীত হবে। ৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ ইংরেজি বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের সভা কক্ষে আয়োজিত
আর্ন্তজাতিক সাক্ষরতা দিবসের আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে-“লিটারেসি ফর হিউম্যান-সেন্টারড
রিকভারি ঃ ন্যারোইং দ্যা ডিজিটাল ডিভাইড”। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর সহযোগিতায় আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে আর্ন্তজাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী পাঁচ শিক্ষার্থীকে পুরস্কৃত করা হয়। এডিএম বলেন, বিগত ২০০৯ সাল থেকে বর্তমান সরকার নিরক্ষর জনগোষ্ঠীকে সাক্ষর দানের জন্য নানাবিধ কর্মসূচী গ্রহণ করেছে। ফলে ২০২০ সালে বাংলাদেশে পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাব অনুযায়ী সাক্ষরতার হার বৃদ্ধি পেয়ে ৭৫.৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। সকলে এ সাফল্যের অংশীদার। প্রতিটি শিশু ও নিরক্ষর জনগোষ্ঠীর কাছে মানসম্মত শিক্ষা পৌঁছে দেয়া সরকারের ভূমিকা অপরিসীম।

বাংলাদেশকে উন্নয়নের প্রত্যাশিত লক্ষ্যে পৌঁছতে হলে নিরক্ষর জনগোষ্ঠীকে সাক্ষর করে দক্ষতাভিত্তিক প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ জনসম্পদে পরিণত করা অতীব প্রয়োজন। এজন্য সরকারের অগ্রাধিকার ভিত্তিক কর্মসূচী এসডিজি ৪ ‘ সকলের জন্য অন্তর্ভূক্তিমূলক ও সমতাভিত্তিক গুণগত শিক্ষা নিশ্চিতকরণ ও জীবনব্যাপী শিক্ষা লাভের সুযোগ সৃষ্টি’ বাস্তবায়নে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়
নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ঢাকা আহছানিয়া মিশনের থানা প্রোগ্রাম ম্যানেজার চন্দন কুমার বড়–য়া ও ঘাসফুল’র প্রোগ্রাম অফিসার ফরিদা ইয়াসমিনের সঞ্চালনায় অনুষ্টিত আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসের আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর সহকারী পরিচালক জুলফিকার আমিন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ শহীদুল ইসলাম, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মোঃ সেলিম উদ্দিন, সরকারী কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মোঃ সাহেদ মাহমুদ, ব্রাইট বাংলাদেশ ফোরাম’র প্রধান নির্বাহী উৎপল বড়–য়া, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের
মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের সহকারী প্রকল্প পরিচালক রিংকু কুমার শর্মা, ঘাসফুল’র উপ-পরিচালক মফিজুর রহমান, ব্র্যাক’র আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক মাহবুব
হোসেন খান, অপরাজেয় বাংলাদেশ’র ইনচার্জ জিনাত আরা বেগম প্রমূখ। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও এনজিও সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।