শান্তি চুক্তি’কে কালো চুক্তি আখ্যা দিয়ে সিএইচটি সম্প্রীতি জোট’র বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক :

শান্তি চুক্তি’কে কালো চুক্তি আখ্যা দিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে সিএইচটি সম্প্রীতি জোট।মঙ্গলবার সকালে নগরীর জামাল খান চত্বরে এ বিক্ষোভ কর্মসূচি করা হয়।

 

কর্মসূচিতে দাবি করা হয় পার্বত্য অঞ্চলের ১৪ জাতিগোষ্ঠীর সমান অধিকার অবিলম্বে নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি ভূমি ও আইনশৃঙ্খলা কাঠামো সংবিধানের আওতায় আনা জরুরি। ১৯৯৭ সালের ‘পার্বত্য চুক্তি’র সাংবিধানিক বৈধতা নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে পুনর্মূল্যায়ন করার কোনো বিকল্প নেই।

 

এসময় জোটের নেতারা পার্বত্য শান্তি চুক্তিকে কালো চুক্তি ও সংবিধান-বিরোধী আখ্যা দিয়ে আঞ্চলিক পরিষদ আইন ১৯৯৮ বাতিল অথবা সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়ার কথাও জানান বক্তারা।

 

কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন সিএইচটি সম্প্রীতি জোটের আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার থোয়াইচিং মং শাক। এই সময় অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন সংগঠনের সদস্য সচিব ইখতিয়ার ইমন, মুখপাত্র পাইশিখই মারমা, কার্যকরী সদস্য শাহীন আলম, পাইমংথুই মারমা প্রেম, মুজিব উল্লাহ তুষার, রাকিব হোছাইন নওশাদ প্রমুখ।

 

সভাপতির বক্তব্যে সিএইচটি সম্প্রীতি জোটের আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার থোয়াইচিং মং শাক বলেন, ২০২৪ এর পট পরিবর্তনের পরও পাহাড় এখনো আগের অবস্থায় অটুট আছে। সেখানে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান ও জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা এখনও বহাল তবিয়তে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় রাষ্ট্রীয় সুযোগ সুবিধা ভোগ করছেন। আমাদের প্রশ্ন, কোন প্রক্রিয়ায়, কিভাবে সরকার এখনও তাকে আগের অবস্থানে বহাল রেখেছেন?

 

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ একক, অবিভাজ্য, সাংবিধানিক রাষ্ট্র। এখানে কোনো অঞ্চলে পৃথক প্রশাসনিক সার্বভৌমত্ব গড়ে তোলা যাবে না। সব নাগরিকের সমান অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

 

পার্বত্য চট্টগ্রামে স্থায়ী শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সেনাবাহিনীকে পূর্ণ সক্ষমতা দেওয়ার পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে স্থানীয় জনগণের আস্থা, ভ্রাতৃত্ববোধ ও দেশপ্রেম বৃদ্ধিতে সহায়ক কার্যক্রম পরিচালনার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জোর দাবি জানান তিনি।

 

পরে কর্মসূচি শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে চেরাগী মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।