চোরাই মোটরসাইকেল বিক্রি সিন্ডিকেটের মূলহোতা মামুনসহ ২ জন গ্রেফতার

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:  র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, চট্টগ্রাম মহানগরীর ইপিজেড থানাধীন আলীশাহ্ধসঢ়; পাড়া এলাকায় চোরাই মোটরসাইকেল ক্রয়-বিক্রয় সংঘবদ্ধ চক্র চোরাই মোটরসাইকেলে পুলিশ স্টিকার লাগিয়ে মোটরসাইকেল ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে চোরাই মোটরসাইকেল সহ অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে গত ১৭ জানুয়ারি ২০২২ ইং তারিখ ০০৩০ ঘটিকায় র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে আসামী ১। মোঃ মামুন উর রশিদ (৪২), পিতা-মোঃ আবু তাহের এবং ২। আকলিমা বেগম (৩৬), স্বামী-মামুন উর রশিদ, উভয় সাং-আলিশাহ্ধসঢ়; পাড়া, থানা-ইপিজেড, চট্টগ্রাম মহানগরীদের আটক করে। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে বর্ণিত স্থান হতে ০১ টি চোরাই মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। তার হেফাজতে থাকা মোটরসাইকেল সংক্রান্তে জিজ্ঞাসাবাদে সে কোন সদোত্তর দিতে পারে নাই ও উক্ত মোটরসাইকেল এর উপযুক্ত কোন কাগজপত্র নাই মর্মে জানায়।  গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় যে, সে পূর্বে এক সময় বাংলাদেশ পুলিশের একজন সদস্য ছিল।

পুলিশে কর্মরত থাকাকালে বিভিন্ন অপরাধ মুলক কর্মকান্ডের কারণে চাকুরিচ্যূত হয়। তার পর থেকে সে বিভিন্ন ধরণের অপরাধের সহিত নিজেকে জড়িয়ে ফেলে। তার কৃত অপরাধের মধ্যে চোরাই মোটরসাইকেল ক্রয়-বিক্রয় চক্র পরিচালনা ছিল অন্যতম। সে পূর্বে পুলিশে চাকুরি করার সুবাদে তার পরিচালিত চক্রের মাধ্যমে সংগ্রহকৃত চোরাই মোটরসাইকেল ক্রয়-বিক্রয় করাকালে প্রত্যেকটি চোরাই মোটরসাইকেলের সামনে পুলিশ স্টিকার ব্যবহার করে স্থানান্তরিত করে থাকে।উল্লেখ্য যে, তার চোরাই মোটরসাইকেল ক্রয়-বিক্রয় চক্রের সহিত প্রত্যক্ষভাবে তার স্ত্রী গ্রেপ্তারকৃত আসামী আকলিমা বেগম জড়িত হয়ে সহায়তা করে থাকে। এছাড়াও চট্টগ্রাম জেলার রাউজান এলাকার অভি এবং চট্টগ্রাম মহানগরীর হালিশহর থানা এলাকার অনিক তার চোরাই মোটরসাইকেল ক্রয়-বিক্রয় চক্রের অন্যতম সদস্য বলে জানা যায়। তাদের প্রত্যক্ষ সহায়তায় চোরাই মোটরসাইকেল ক্রয়-বিক্রয় করে বিভিন্ন জায়গায় স্থানান্তর করে থাকে। তার হেফাজতে হতে জব্দকৃত চোরাই মোটরসাইকেল টিও তার সহযোগী অনিকের মাধ্যমে সংগ্রহ করেছিল এবং সে উক্ত মোটরসাইকেল বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে তার নিজ হেফাজতে রাখে। তার পরিচালিত চক্রের মাধ্যমে সংগ্রহীত চোরাই মোটরসাইকেল সমূহ তার চক্রের অন্যতম সহযোগী অভির মাধ্যমে কাস্টমস্ধসঢ়; এর নকল কাগজপত্র তৈরী করে সেই কাগজপত্রের ভিত্তিতে মোটরসাইকেল বিক্রয় করে থাকে।  গ্রেফতারকৃত আসামীর সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।