সন্দ্বীপের প্রবাসীদের অনুদানে তরুণরা ঘরে ঘরে পৌছেঁ দিচ্ছে রোজার সদাই

সন্দ্বীপ প্রতিনিধি :   চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের তরুণরা দ্বীপের সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে যাচ্ছে। ফেইসুবকের কল্যাণে তারা দ্বীপে অবস্থানরত বিভিন্ন সমস্যায় ভোগা মানুষের পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িঁয়ে দেয়। দরিদ্র পরিবারের মেয়ের বিয়ে, চিকিৎসার খরচ, গৃহহীন মানুষকে ঘর নির্মাণ ও প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী সহ নানা কাজ তারা করে যাচ্ছে। এবারের মাহে রমজানেও সবার মাঝে রমজানের আমেজ ছড়িয়ে দিতে তরুণরা দ্বীপের মধ্যবিত্ত নিম্নবিত্ত প্রায় ২৫০টি পরিবারের মাঝে রোজার সদাই পৌছে দিয়ে পাশে ছিলেন। তরুণ সমাজ কর্মী এম কে মিশন, হাসান আল নাহিয়ান, মোঃ রুস্তম, মিলাদ আব্বাস, আব্দুর রহমান ইমন, আরমান জাবেদ, শেখ রুবেল, টিপু সুলতান এবং আরো অনেক মানবিক ভাই ভিন্ন ভিন্ন প্রজেক্টের মাধ্যমে তারা মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে পরিচয় গোপন রেখে রাতের আধাঁরে এই উপহার দিয়ে আসেন।

তরুণ সমাজকর্মী রুস্তম জানান – রমজান মাসে আমাদের আশপাশে অনেকগুলো পরিবার কোনরকম কষ্টে দিন কাটান। কিন্তু লজ্জায় কাউকে বলতেও পারে না , কারো কাছে চাইতেও পারে না। আমরা এমন পরিবার গুলো খুজে বের করে ঘরে গিয়ে রাতে আধাঁরে খাদ্যসামগ্রী দিয়ে আসি। এতে করে তারা একটু খুশি তে থাকলে আমাদের একটা তৃপ্তি কাজ করে। আরেক সমাজকর্মী আব্দুর রহমান ইমন বলেন -শুধু রমজান নয় বছরের যেকোন সময় আমরা এসব পরিবারগুলোর পাশে থাকতে চাই। আমাদের এসব উদ্যেগ গুলোকে সহজ করেছে প্রবাসীরা। তাদের অনুদানে আমরা মানুষের পাশে দাড়াঁতে সক্ষম হয়। তাই আমরা প্রবাসীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

কিভাবে এই মানবিক কাজগুলো করছেন জানতে চাইলে সমাজকর্মী এম কে মিশন বলেন -আমরা প্রত্যেকটা প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করার সময় ফেইসবুকে নিজেদের টাইমলানে সহযোগিতা চেয়ে বারবার পোস্ট করি। পরে পোস্ট দেখে প্রবাসে অবস্থানরত অনেক ভাই এবং দেশের বিভিন্ন দাতারা আমাদের সহযোগিতা করেন। তাদের সম্মেলিত সহযোগিতায় আমরা মানবিক কাজগুলো করে থাকি। তিনি আরো বলেন,আমি রমজানে ইফতারে সামগ্রী বিতরণের পাশাপাশি,অসহায় রোগীর জন্য চিকিৎসার খরচ, অসহায় পরিবারের ঘরের নির্মান সহ, গত ১২ বছরে পরিচয় গোপন রেখে ১০০ টার ও অধিক এতিম এবং অসহায় মেয়ের বিয়েতে সহযোগিতা করেছি, এই Facebook এর কল্যানে।

এদিকে রোজার সদাই প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করা হাসান আল নাহিয়ান বলেন -আমরা সন্দ্বীপের অবস্থানরত দুঃস্থ অসহায় মানুষগুলো পাশে সব সসময় থাকতে চাই। একটি চিন্তা আমার মাথায় সবসময় কাজ করে যে ধনীদের থেকে নাও অসহায়দের বুঝিয়ে দাও,যেন সুষম বন্টনটা যেন ঠিকঠাক হয়।আমরা সন্দ্বীপের মত একটা উপজেলায় যে পরিমাণ মানবিক কাজ হচ্ছে সেটা বাংলাদেশের অন্যান্য জায়গার চেয়েও অনেক এগিয়ে। শেখ রুবেল ও টিপু সুলতান দুজনেই অবসর সময়ে ফেইসবুক কাজে লাগিয়ে অনুদান সংগ্রহ করে পৌছে দিয়েছে মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো কে খবার। শুধুমাত্র রমজানে রোজার সদাই নয়, ফেইসবুক ব্যাবহার করে অনুদান সংগ্রহ করে বিভিন্ন মানবিক কাজে এগিয়ে আশা তরুণদের প্রশংসা করেছেন দ্বীপের বাসিন্দারা।