
মো. তাসলিম উদ্দিন সরাইল( ব্রাহ্মণবাড়িয়া) : মাঠে মাঠে শুরু হয়েছে বোরো ধান কাটার উৎসব। মাঠজুড়ে এখন সোনালি ধানের সমারোহ। পাকা ধানের শীষ দুলছে বৈশাখী বাতাসে। ধানের ম ম ঘ্রাণে খুশিরঝিলিক কৃষকের চোখে-মুখে। ধান কাটতে কৃষকরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। স্বর্ণ রঙে পাকা ধান ভোরের সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই হাতে কৃষক মাঠে ছোটেন সেই ধান কাটতে। ধান কাটার সময় তারা কেউ কেউ বিভিন্ন লোক সংগীত গেয়ে ওঠেন। তাদের গানে যেন মুগ্ধ হয়ে যেন শালিকের ঝাঁক দেয় কিচির-মিচির ডাক! ধানের পাঁজা মাথায় নিয়ে কৃষক যখন আইল পথে পায়ের ছাপ এঁকে হেঁটে যান তখন যেন মনে হয় সূর্যের আলোয় কৃষকের মাথায় স্বর্ণ দানা চিকচিক করছে।মৃদু বাতাসে দোল খাচ্ছে মাঠ ভরা সোনালী ধান।লেজঝোলা ফিঙে আর শালিক ঝগড়া করে, তারপর উড়ে যায়। এসব কিছুই দেখার ফুরসত নেই যেনো কৃষকের! মাঠের পাকা ধান কেটে তুলতে হবে গোলায়।সে কাজেই ব্যস্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার কৃষকেরা।
সরাইল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. একরাম হোসেন মঙ্গলবার(২৫ এপ্রিল ) দুপুরে এ প্রতিনিধি জানান , এবার উপজেলায় ২৮ ধানের সমস্যা হলেও। ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।এখন চলছে মাঠে মাঠে ধান কাটার উৎসব।তিনি জানান, ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকরা যেমন খুশি, তেমনি স্বস্তিতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরও। কৃষিবিদ মো. একরাম হোসেনর তথ্য মতে, এ বছর সরাইল উপজেলায় প্রায়-১৫ হাজার হেক্টর জমিতে ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিলো। উপজেলা জুড়ে এখন বাতাসে ভেসে বেড়ায় পাকা ধানের মিষ্টি ঘ্রাণ। দিনভর কয়লা খাটুনি খেটে ধান কাটার পর মাড়াই শেষে ঘরে তুলছেন কৃষকেরা। তাদের এ কাজে সহযোগিতা করছেন কৃষাণি বধূরাও। আর এভাবেই দেখতে দেখতে গোলা ভরে উঠছে কৃষকের।গ্রামে গ্রামে চলছে নবান্ন উৎসব ঋতুচক্রের নিয়মেই হাত ধরে আসে নবান্ন। গ্রামবাংলার মাঠে-খেতে চলছে ধান কাটার মহোৎসব নবান্ন (অর্থ: নতুন অন্ন)। নবান্ন হল নতুন ধান কাটার পর সেই ধান থেকে পাওয়া চালের প্রথম রান্না উপলক্ষে আয়োজিত উৎসব।
পড়েছেনঃ ১০৬