
প্রেস বিজ্ঞপ্তি : জনৈক ভুক্তভোগী ভিকটিম ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি গত ২০২১খ্রি. সালের ডিসেম্বর মাসে চট্টগ্রাম মহানগরীর বহদ্দারহাট এলাকায় তার বোনের বাসায় বেড়াতে আসেন। চট্টগ্রাম বোনের বাসায় আসার সুবাধে জনৈক সায়েম আহম্মেদ নামের এক যুবকের এর সাথে পরিচয় হয় এবং পরিচয় সূত্রে তাদের মধ্যে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে। একপর্যায়ে সায়েম আহম্মেদ ভিকটিমকে বিয়ের প্রলোভনে আবদ্ধ করে চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে নিয়ে শারীরিক সর্ম্পকে লিপ্ত হয় এবং গোপনে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে ভিডিও চিত্র ধারণ করে রাখে। পরবর্তীতে ভিকটিমের বাবা-মা বিবাহ দেওয়ার জন্য তৎপর হয়ে উঠলে ভিকটিম তখন সায়েম আহম্মেদ’কে বিবাহের জন্য বললে সায়েম তৎক্ষনাত ভিকটিমের সাথে প্রেমের সর্ম্পক ছিন্ন করে। এরপর গত ১৫ ডিসেম্বর ২০২২ খ্রি. তারিখ ভুক্তভোগী ভিকটিম পারিবারিক ভাবে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
গত ০৪ মে ২০২৩ ইং তারিখ বিকাল ০৪০০ ঘটিকায় সায়েম আহম্মেদ একটি ভূযা ফেইসবুক আইডি হতে মেসেঞ্জার এর মাধ্যমে ভিকটিমের মেসেঞ্জার আইডিতে পূর্বে ধারণকৃর্ত কিছু অশ্লীল নগ্ন ভিডিও প্রেরণ করে বøাকমেইল করার চেষ্ঠা করে। এছাড়াও গত ০৫ মে ২০২৩খ্রি. তারিখ পুনরায় ভিকটিমের একই মেসেঞ্জার আইডিতে ব্যক্তিগত মুহুর্তের অশালীন ছবি প্রেরণ করে ০৫ লক্ষ টাকা দাবী করে। তখন সায়েম ভিকটিম’কে বলে যে, টাকা না দিলে তার নিকট থাকা ব্যক্তিগত মুহুর্তের অশালীন ছবি এবং নগ্ন ভিডিও তার স্বামীর কাছেসহ স্বামীর এলাকার মানুষের কাছে ছড়িয়ে দিবে, সে সময় মারা যাওয়া ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না এসব বলে হুমকি প্রধান করে। এভাবে প্রতিনিয়ত ভিকটিমকে জিম্মি করে তার ব্যাক্তিগত স্পর্শকাতর ছবি দিয়ে বøাকমেইলি করে ভিকটিমকে স্বামীর ঘর ছেড়ে চলে আসার জন্য হুমকি প্রদান করতে থাকে। পরবর্তীতে ভিকটিম নিরুপায় হয়ে বর্ণিত বিষয় উল্লেখ করে অধিনায়ক, র্যাব-৭, চট্টগ্রাম বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম ভিকটিমের এরুপ অভিযোগের প্রেক্ষিতে উল্লেখিত আসামী সায়েম’কে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজড়দারি বৃদ্ধি করে। এরই প্রেক্ষিতে গত ০৭ মে ২০২৩খ্রি. তারিখ আনুমানিক ১০০৫ ঘটিকায় র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁও থানাধীন বাদাম তলী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী সায়েম আহম্মেদ (২৪), পিতা- মৃত ফরিদ আহম্মেদ, সাং- আমিরাবাদ, থানা- লোহাগাড়া, জেলা-চট্টগ্রামকে আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে অকপটে স্বীকার করে যে, সে কৌশলে ভিকটিমের সাথে শারীরিক সর্ম্পক স্থাপনের ভিডিও চিত্র ধারন করে তা দিয়ে বøাকমেইল ও টাকা দাবি করে। পরবর্তীতে ভিকটিমের মানহানি করার উদ্দেশ্যে উক্ত ভিডিও চিত্র তার আত্মীয়-স্বজন ও স্বামীকে প্রেরণ করে। ধৃত আসামী কর্তৃক ইতিপূর্বে বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শণের ও ধর্ষণ করার বিষয়ে কথিত অডিও রেকর্ড এবং ম্যাসেঞ্জারে বিভিন্নভাবে ভিকটিমকে ভয়ভীতি প্রদর্শণের স্ক্রীন শর্টের প্রিন্ট কপি ০৫ পাতা আলামত হিসেবে জব্দ করা হয় । গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।