
পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি : কক্সবাজারের পেকুয়ায় পাওনা ৪ লক্ষ টাকা উদ্ধারে প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে এক প্রবাসির পরিবার। বৃহস্পতিবার (১১মে) বিকেলে পেকুয়া বাজারস্থ এক অভিজাত রেষ্টুরেন্টের কনভেনশন হল রুমে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে ওমান প্রবাসির স্ত্রী তাসমিন জান্নাত তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, উপজেলার টইটং ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আবু ওমর গং তাদের আত্মীয় হয়। ২০১৭ সালে আবু ওমর গংদের কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা দিয়ে মৌখিক চুক্তিতে ২৬শতক জমি ক্রয় করেন। সেখানে তিনতলা ফাউন্ডেশন দিয়ে একতলা একটি বিশাল আকৃতির ঘর নিমার্ণ করে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করেন।
মেম্বার আবু ওমর ওই সময় একটি হত্যা মামলার আসামি। টাকার টানাপোড়েন পড়ায় ওই জমি বিক্রয় করেছিলেন তিনি। ঘর নির্মাণ শেষ হলে জায়গা কবলা দেওয়ার কথা ছিল। কয়েকদফা জমি রেজিস্ট্রি করে দেওয়ার আশ্বাস দিলে ওমর গং নানা অজুহাত দেখিয়ে কবলা দেয়নি। এরই মধ্যে আবু ওমরের ভাই আবু বক্কর,শহিদুল্লাহ ও তাদের ভগ্নিপতি বারবাকিয়া ইউনিয়নের পাহাড়িয়াখালী এলাকার জুনাইদ কয়েক দফায় আমি ও আমার শ্বশুর ওবায়দুল হকের কাছ থেকে আড়াই লক্ষ টাকা হওলাদ নেয়। আমার স্বামী আবদুল হামিদও ওমান থেকে বিকাশের মাধ্যমে আবু বক্করকে টাকা ধার দিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, জমি কবলা দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করলে আবু ওমর গং হঠাৎ জমি বিক্রির কথা অস্বীকার করেন। উল্টো আমাদেরকে উচ্ছেদ করার জন্য পায়তারা শুরু করেন। ২০২০ সালে সংঘবদ্ধ লোকজন নিয়ে বাড়িতে হানা দিয়ে মারধর শুরু করেন। বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়ার অপচেষ্টা চালায়। নিরুপায় হয়ে শেষে থানা প্রশাসন ও স্থানীয় শালিস বিচারে বাড়িভিটা ২৪ লক্ষ টাকা নির্ধারন করেন। আমরা ধার্য্যকৃত টাকার সাড়ে ২২ লক্ষ টাকা বুঝে পাই। হওলাদি টাকাসহ ৪লক্ষ টাকা পরিশোধ না করে নানাভাবে হয়রানি করছে আবু ওমর গং।
ওবায়দুল হক বলেন, আমরা চট্টগ্রামের বাঁশাখালী ছনুয়া এলাকা থেকে এসে জমি ক্রয় করে টইটংয়ের জানআলী মুরা এলাকায় ঘর নির্মাণ করে বসবাস করছিলাম। আবু ওমর মেম্বার আমার আত্মীয়। সরল বিশ্বাসে জমি ক্রয় করে ৫০লক্ষ টাকা খরচ করে পাকা বাড়ি নির্মাণ করি। আমার ছেলেদের সারা জীবনের পুৃঁজি ওই বাড়িতে ব্যয় করেছে। এখন আমরা নিঃস্ব। বর্তমানে রাজাখালীতে একটি টংঘর করে বসবাস করছি। ওমর গং প্রাপ্র টাকাগুলো না দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে হয়রানি করছে। আমরা টাকাগুলো উদ্ধারের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,তাসমিনের শ্বাশুড়ি সিরাজ খাতুন,ননদ শাহেনা বেগম,নাছিমা বেগম,কাফিয়া আক্তার,ভাসুর আবদুল নবী প্রমুখ।