কর্ণফুলীতে নানার বিরুদ্ধে নাতির ফেসবুক পোস্ট, ডিজিটাল আইনে মামলা

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পর পর কয়েকটি পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে এক যুবকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে। মামলাটি করেছেন কর্ণফুলী উপজেলার চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য আবদুল গফুর।

তিনি সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে (২৮ আগষ্ট মাসে) এ মামলা দায়ের করেন। যার সাইবার পিটিশন মামলা নং-৩৪৬/২০২৩ (চট্টগ্রাম)।  অভিযুক্ত মো. হোসেন আলী (২৪) কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের খোয়াজনগর (৪ নম্বর ওয়ার্ড) হাফেজ মুন্সী বাড়ির হাবিবুর রহমানে ছেলে।

তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৫, ২৬ ও ২৯ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। সম্পর্কে বাদি-বিবাদী নানা নাতি হন।  ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৫ ধারায় রয়েছে আক্রমণাত্মক, মিথ্যা বা ভীতি প্রদর্শক, তথ্য-উপাত্ত প্রেরণ ও প্রকাশ, ২৬ ধারায় রয়েছে অনুমতি ব্যতীত পরিচিতি তথ্য সংগ্রহ, ব্যবহারের দণ্ড ও ২৯ ধারায় রয়েছে মানহানিকর তথ্য প্রকাশ, প্রচার ও ইত্যাদি।

অভিযুক্ত যুবক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে যে পোস্ট করেছেন তাতে সাবেক ইউপি সদস্য আবদুল গফুর এর মানহানিসহ উল্লেখিত অপরাধ করেছেন বলে এজাহারে অভিযোগ আনা হয়েছে।

যদিও অভিযুক্ত মো. হোসেন আলী বলেন, ‘মামলার বাদি আবদুল গফুর আমার নানা হন। তিনি আমার বাবা থেকে বায়নানামা করে ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা নিয়েছেন এবং বিগত ২০০৮ সালে জায়গা রেজিস্ট্রি করে দিবে বলে বিনা রশিদে আরও ২০ হাজার টাকা নিয়েছেন। যার সাক্ষী আমার পরিবার।’

তিনি আরও বলেন, ‘গত ২০০৬ সালে আমার পিতা থেকে যে টাকাগুলো নিয়েছেন তিনি, ওই টাকা দিয়ে তিনি তার নিজের ঘর বানানোর জন্য ইট, বালি, সিমেন্ট কিনেছেন। যার সাক্ষী তার আপন ভাগিনা। উনি আমার পরিবারকে সর্বশান্ত করে দিয়েছে।’

বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের এসআই মাহমুদুল হাসান মামুন মামলাটি তদন্ত করছেন।

তিনি বলেন, ‘মো. হোসেন আলীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাইবার আদালতে একটি মামলা হয়েছে। যার নোটিশ ইস্যু করা হয়েছে। এখনো তিনি আসেননি। তবে আসবেন বলে জানিয়েছেন। আসলে জানা যাবে ঘটনাটি কী ঘটেছে তাদের মধ্যে।’