
বিয়েকে স্মরণীয় করে রাখতে ও শখ পূরণে কত কিছুই না করে মানুষ। সবাই চাই তার বিয়েটাকে স্মরণীয় করে রাখতে। তেমনি চাচার ইচ্চা ও শখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জুনায়েদ প্রবাসী হেলিকপ্টার নামে প্রতিষ্টান থেকে হেলিকপ্টার ভাড়া করে বিয়ে করতে গেলেন। এ সময় শত শত লোক ভিড় জমান। উৎসুক লোকজনের ভিড় সামলাতে ও নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনে ছিল পুলিশও। বর জুনায়েদ সরকার জেলার সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউপির ঘাটুরা গ্রামের কবির সরকারের ছেলে। কনে কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম উপজেলার আব্দুল্লাপুর গ্রামের বাসিন্দা। শুক্রবার দুপুর সোয়া দুইটার দিকে জেলা শহরের অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের বোর্ডিং মাঠে বরের হেলিকপ্টার অবতরণ করে। অল্প সময় পর হেলিকপ্টার যোগে বর কনের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
জানা যায়, বরের চাচা ঠিকাদার নুরুল ইসলাম এর ইচ্ছা ও শখ ছিলো তার ভাতিজাকে হেলিকপ্টার করে বিয়ে করাতে নিয়ে যাবেন। সেই শখ ও ইচ্ছায় নুরুল ইসলাম ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রবাসীর হেলিকপ্টার নামে এক প্রতিষ্টানের সাথে যোগাযোগ করে ভাতিজার বিয়ের জন্য হেলিকপ্টার ভাড়া করেন। সেই হেলিকপ্টারে চাচাসহ বর নিয়ে দুপুরে জেলা শহরের অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের বোর্ডিং মাঠ থেকে কনের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
বরের ভাই সোহেল জানান, প্রবাসীর হেলিকপ্টার থেকে স্বল্প খরচে হেলিকপ্টার ভাড়া নিয়ে এসেছে মনের আশা পূরণ করেছে চাচা। স্বল্প খরচে এই সেবা চালু করার জন্য প্রবাসীর হেলিকপ্টার সকল কে ধন্যবাদ জানান।
বরের চাচা নুরুল ইসলাম জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে কিশোরগঞ্জের রাস্তা অনেক খারাপ। আর অনেক দিন থেকে ইচ্চা ছিলো ভাতিজার বিয়েতে ব্যতিক্রম কিছু করার। ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে কিশোরগঞ্জের দূরত্ব বেশি হওয়ায় এবং রাস্তা খারাপের কারনে সময় বেশি লাগবে। সেই কারনে হেলিকপ্টার করে ভাতিজাকে বিয়ে করাতে নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা হয়। পরে ইন্টারনেটে অনেক প্রতিষ্টানের সাথে যোগাযোগ করি। পরে প্রবাসী হেলিকপ্টার নামে একটি প্রতিষ্টান থেকে এই হেলিকপ্টার ভাড়া করি। তিনি প্রবাসী হেলিকপ্টার প্রতিষ্টানকে ধন্যবাদ জানান।
বর জুনায়েদ সরকার জানান, চাচার ইচ্ছাতেই বিয়ের দিনটাকে স্মরণীয় করে রাখতে হেলিকপ্টার করে বিয়ে করতে যাচ্ছি।
পড়েছেনঃ ১৪৯