ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অটোরিকশার লাইসেন্স দেওয়া ফের চালুর দাবি

চলাচলে শৃংখলা আনা, জীবিকা নিশ্চিত, সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন দিক বিবেচনায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার লাইসেন্স দেওয়া ফের চালুর দাবি জানিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মালিক শ্রমিকরা। মঙ্গলবার দুুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবে হওয়া সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সিএনজিচালিত অটোরিকশা পরিবহন মালিক সমিতির কার্যকরী সভাপতি মো. বাহার চৌধুরী। এ সময় জানানো হয়, ১০ হাজার অটোরিকশার লাইসেন্সের জন্য আবেদন করা হলেও মাত্র এক হাজার ৮৫০টির লাইসেন্স দিয়ে কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। এতে মালিক ও শ্রমিকদের আয়ের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সিএনজিচালিত অটোরিকশা পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি হাজি মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মো. কুদ্দুস মিয়া, সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. হারুন মিয়া, যুগ্ম সম্পাদক মো. শামিম, সাংগঠনিক সম্পাদক তাহের মিয়া, অর্থ সম্পাদক কামাল মিয়া প্রমুখ। সংশ্লিষ্টরা এ সময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, দীর্ঘ আট বছর ধরে সিএনজিচালিত অটোরিকশার লাইসেন্স দেওয়া বন্ধ ছিল। এতে করে রেজিস্ট্রেশন (নিবন্ধনহীন) গাড়ি দুর্ঘটনায় পতিত হলে গাড়ির মালিক চিহ্নিত করা যাচ্ছিলো না। চালকরা রাস্তায় গাড়ি চালানোর সময় রেজিষ্ট্রেশন না থাকার কারণে পুলিশের হাতে নানা ভাবে নাজেহাল হচ্ছিল। বিভিন্ন সমস্যার পরিপ্রেক্ষিতে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর বিআরটিএ’র ব্রাহ্মণবাড়িয়া অফিস পুণরায় রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চালু করে।
এ সময় আরো জানানো হয়, সম্প্রতি সরকার অটোরিক্সার লাইসেন্স চালু করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার জন্য ১০ হাজার লাইসেন্স দেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়। ইতিমধ্যে ১৮শ ৫০টি সিএনজি চালিত অটোরিক্সার লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। কিন্তু একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে অভিযোগের রেশ ধরে লাইসেন্স দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে করে বিপাকে পড়েছেন মালিক ও শ্রমিকরা।