পর্যটন মেলায় আবহমান বাংলার সংস্কৃতি দিয়ে সাজানো  পেকুয়া উপজেলা প্রশাসনের স্টলে বিদেশীদের ভিড়

আবহমান বাংলার গ্রামীণ সংস্কৃতি হাজার বছরের পুরানো। বাঙালির রয়েছে হাজার বছরের নিজস্ব ইতিহাস ঐতিহ্য । এক সময় মাটির তৈরি জিনিসপত্র কিংবা প্রাচীন বাংলায় তৈরী মসলিন শাড়ি দুনিয়া বিখ্যাত ছিল। তারই আদলে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন আয়োজিত বিশ্ব পর্যটন মেলায় গ্রামীণ বাংলার সংস্কৃতিকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে পেকুয়া উপজেলা প্রশাসনের স্টলে। মাটির তৈরী জিনিস পত্র, বাঁশ ও বেত দিয়ে তৈরি নানান পরিবেশ বান্ধব কৃষি কাজে ব্যবহৃত জিনিসপত্র কিংবা জেলের মাছ ধরার জাল,ছাই আর মাটির হাড়ি, আসবাবপত্র ও লাঙ্গল জোয়াল মন কেড়েছে বিদেশী পর্যটকদের।
পেকুয়া উপজেলা প্রশাসনের স্টল যেন পরিনত হয়েছে বিদেশীদের আকর্ষণের কেন্দ্র বিন্দুতে।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় অস্ট্রেলিয়ান এক বিদেশী পর্যটক স্টল পরিদর্শন করে তিনি এই জিনিস পত্রের প্রশংসা করেন এবং জিনিস কিনতে চান।
জাপানের আরেক পর্যটক স্টল পরিদর্শন করেন এবং জানতে চান কোন কিছু জিনিস কি কাজে ব্যবহার করা হয়। তিনি বলেন কৃষি কাজে ব্যবহৃত এসব সামগ্রী যেমন কাজের পাশাপাশি বাঙালি জাতির পরিচয়ও বহন করে।
জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ৭ দিন ব্যাপী বিশ্ব পর্যটন ও বীচ কার্নিভাল মেলায় পেকুয়া উপজেলা প্রশাসন ভিন্ন ভাবে অংশ গ্রহণ করেছে। ২৭ সেপ্টেম্বর উদ্বোধন হওয়া বিশ্ব পর্যটন মেলা চলবে আজ ৩ অক্টোবর পর্যন্ত।
পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পূর্বিতা চাকমা বলেন, যেহেতু বিশ্ব পর্যটন মেলায় দেশের পাশাপাশি বিদেশী পর্যটক আসে সেহেতু আমাদের হাজার বছরের পুরানো গ্রামীণ সংস্কৃতি কৃষ্টি কালচার আগত পর্যটক ও বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে আমরা ভিন্ন ভাবে স্টল সাজিয়েছি। এই স্টলে পরিবেশ বান্ধব জিনিসপত্র ব্যবহারে যেমন উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে তেমনি বাঙালীর প্রাচীন সংস্কৃতিকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ৷
মেলা স্টল পরিদর্শন করেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোঃ শাহিন ইমরান,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( সার্বিক) বিভীষণ কান্তি দাস, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি)তাপ্তি চাকমাসহ আরও অনেকে।এসময় উপস্থিত ছিলেন,পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পূর্বিতা চাকমা