পেকুয়ায় ধর্ষণ মামলা থেকে অব্যাহতি পেল এক প্রবাসি

কক্সবাজারের পেকুয়ায় আলোচিত গৃহবধূ ধর্ষণ মামলা থেকে অব্যাহতি পেলো আলহাজ্ব রাজা মিয়া (৪৭) নামের এক সৌদি প্রবাসি। তিনি উপজেলার টইটং ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সোনাইছড়ি এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে। কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মোহাম্মদ আবু হান্নান গত ১ নভেম্বর এ আদেশ প্রদান করেন।যার আদেশ নং-০৫। ভিকটিম জান্নাতুল ফেরদৌস টইটং হাজ্বিবাজারস্থ সৌদি প্রবাসি রাজা মিয়ার ভাড়া বাসায় থাকতেন। বাসায় একা থাকার সুবাদে চলতি বছরের গত ২৩ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রাজা মিয়া রুমে ঢুকে তাঁর দু’শিশু সন্তানের সামনে ইচ্ছের বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে গৃহবধূকে। পরে বাসার সিসিটিভির ক্যামেরার সার্ভারের হার্ডডিস্ক খুলে নিয়ে যায় রাজা মিয়া। ঘটনার একদিন পরে রাজামিয়া কৌশলে পালিয়ে যায় সৌদি আরব। পরে জন্নাতুল ফেরদৌস বাদি হয়ে গত ৭মে কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ আদালতে ধর্ষণের অভিযোগ এনে রাজা মিয়াকে বিবাদী করে একটি মাললা দায়ের করেন। যার সি.পি মামলা নং-১০১/২৩।

বিজ্ঞ আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) পুলিশ সুপার কক্সবাজারকে তদন্তভার ন্যস্ত করেন। নথিঘেটে আরো জানাগেছে, তদন্ত কর্মকর্তা অধিকতর তদন্ত করেন। ধর্ষণের বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেন। সেখানে ভিকটিমের চিকিৎসা সংক্রান্ত মেডিকেল রিপোর্ট ও ডিএনএ টেস্টে ধর্ষণের কোন ধরণের আলামত পাইনি বলে উল্লেখ করে গত ১৮ অক্টোবর আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা। মামলার সার্বিক দিক পর্যালোচনা ও অভিযোগকারীর নালিশী দরখাস্ত অগ্রবর্তী হওয়ার কোন যৌক্তিক কারণ বিদ্যামান নাই মর্মে বিজ্ঞ বিচারক নালিশী দরখাস্ত নাকচ করে আসামি রাজা মিয়াকে অব্যাহতি প্রদান করে মামলাটি নথি জাত করার আদেশ দেন।

এবিষয়ে আলহাজ্ব রাজা মিয়া বলেন, আসলে মহিলার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ছিল। সত্য কখনো গোপন তাকেনা। সেটি আদালতে প্রমান হয়েছে। একটি মহল আমাকে হয়রানি করতে ও মান সম্মান ক্ষুন্ন করতে ওই মহিলাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। এতে তারা আমার সম্মান হানিসহ আর্থিক ক্ষতি করেছে।