কক্সবাজারের পেকুয়ায় চলাচল পথের রাস্তা নিয়ে চাচা ভাতিজার মধ্যে ব্যাপক মারপিট হয়েছে। এসময় গর্ভবতী নারীসহ ১০জন আহত হয়েছে। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। উপজেলার টইটং ইউনিয়নের নাপিতখালী এলাকায় বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে এঘটনা ঘটে। আহতেরা হলেন,নাপিতখালী মসলেম উদ্দিন (৬৫),তার স্ত্রী মোস্তফা বেগম (৫৫), ছেলে বজল করিম (৪০), ফজল করিম (৩৫), ফজল করিমের স্ত্রী হালিমা বেগম (৩৩), বজল করিমের স্ত্রী তসলিমা বেগম (৪০) ও মেয়ে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা জেসমিন আক্তার (২০)। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের আরও ৩ জন আহতের খবর পাওয়া গেছে। প্রত্যক্ষদর্শী মুহাম্মদ আরকান বলেন,মোসলেম উদ্দিন ও তার ভাতিজা খানে আলমের মধ্য পথের চলাচল রাস্তা নিয়ে দুই বছর ধরে দ্বন্ধ রয়েছে। সকালে খানে আলম বেড়ার ঘেরা দিয়ে রাস্তা অবরোধের চেষ্টা চালায়। এসময় দুপক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে খানে আলম, রিদুওয়ান,রবিউল আলম,জহির আলমসহ ৭-৮ জন লোক দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। হামলায় অন্তত ৭জন আহত হয়েছে। গ্রাম পুলিশসহ আমরা তাদের উদ্ধার করি। আহত মসলেম উদ্দিন বলেন,খানে আলমের সাথে পথের চলাচল রাস্তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্ধ রয়েছে। খানে আলম ও তার ভাইয়েরা ঘেরাবেড়া দিয়ে রাস্তা অবরোধের চেষ্টা করে। বাধা দেয়ায় আমাদের কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে। ইউপি সদস্য ফয়সাল আকবর চৌধুরী বলেন,মারপিটের খবর পেয়ে গ্রাম পুলিশ পাঠিয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। অভিযুক্ত খানে আলম বলেন,আমাদের জায়গায় আমরা কাজ করছি। এসময় জেঠা মোসলেম উদ্দিন গং বাঁধা দেয়। আমাদের পক্ষেও কয়েকজন আহত হয়েছে। পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন,লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।