
আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে শনিবার (৪ মে) বিকেলে হাটহাজারীর একটি আবাসিক এলাকায় সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আনারস প্রতীকের আলহাজ্ব ইউনুস গণি চৌধুরী।
মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, ২০১৪ সালে জাতীয় নির্বাচনে দলীয় নমিনেশন পেলেও বঙ্গবন্ধু তনয়া দলের সভানেত্রীর বিশেষ অনুরোধে প্রত্যাহার করি এবং নেত্রীর নির্দেশেই নেত্রীর দেয়া প্রার্থীকে সমর্থন এবং সহযোগিতা করে আসছি। মান অভিমান দেখিয়ে হাটহাজারীবাসীকে ছেড়ে যাইনি। সংসদ সদস্যের কাজ হলো বরাদ্দ
এনে দেয়া আর উপজেলা চেয়ারম্যানের কাজ হলো তদারকি করা। কিন্তু বিগত দিনে সাংসদ এবং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানদের সমন্বয় না থাকায় অনেক কাজের ভিত্তিপ্রস্থর হলেও এখনও শুরু আবার অনেক কাজ পুরোদমে সমাপ্ত হয়নি। অনেক কাজ থেমে গেছে মাঝপথে। একজন সাংসদ সবসময় এলাকায় চাইলেও থাকা সম্ভব নয়। তাই এলাকা এলাকা ঘুরে কাজের তদারকি, এলাকার দুর্ভোগ দেখা চেয়ারম্যানের উপর বর্তায়। সাংসদের সাথে সুসম্পর্ক এবং সাংসদের বিশ্বস্ত বিধায় এলাকার উন্নয়নে ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদের অনুরোধে তিনি প্রার্থী হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, মডেল মসজিদ, টিটিসি, বঙ্গবন্ধু নভ থিয়েটার, আইটি পার্কের ইতিমধ্যে অনুমোদন হলেও কাজ শুরু হয়নি তার কারণ কি। সাংসদকে সমস্যাগুলো অবহিত করার বিশ্বস্ত লোকের অভাব। তিনি বলেন, হাটহাজারীতে চাঁদাবাজি, ভূমিদস্যুতা, মাদক, সন্ত্রাস, চায় না মানুষ। তারা চায় সন্ত্রাসমুক্ত, চাঁদাবাজমুক্ত হাটহাজারী। সে রকম একটি হাটহাজারী গড়তে বদ্ধপরিকর উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্বাচিত হলে সপ্তাহে পাঁচদিনই উপজেলায় থাকবেন। সরকার বাড়ি দিচ্ছেন। দিচ্ছেন গাড়ি তাহলে কেন ফাঁকিবাজি করব। নির্বাচনে কতটুকু আশাবাদীর প্রশ্নে মানুষের যে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে, ভালবাসার জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে তাতে কেউ তাকে দমিয়ে রাখতে পারবেনা বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।














