চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেছেন, গত ১৫ বছরে ক্ষমতার লিপ্সায় আওয়ামীলীগ সরকার দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সহ সকল কাঠামো ধবংস করে রাষ্ট্রকে দেউলিয়া করে ফেলেছে। দেশি ও বিদেশি উৎস থেকে ঋণ নিয়ে উন্নয়নের নামে দুর্নীতি করেছে। জনগণের অর্থ পাচার করেছে ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে। জনগণের উপর চাপিয়ে দিয়েছে ঋণ ও করের বোজা। ১৮ লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকার সরকারি ঋণ রেখে লুঠেরা সরকার দেশ থেকে পালিয়েছে। অবাধে লুণ্ঠন করা হয়েছে দেশের ব্যাংকিং খাত। দলীয় ক্যাডার,সন্ত্রাসী আর সিন্ডিকেটবাজদেরকে ভরণ-পোষণ করতে গিয়ে শূন্য করা হয়েছ রাষ্ট্রের কোষাগার। স্বাধীন দেশে ভিন্ন মত দমনে রাষ্ট্রযন্ত্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে কর্তৃত্ববাদী শাসনের সামাজিক ভিত্তি রচনা করা হয়েছে। দেশের মানুষ কথা বলতে ও প্রতিবাদ করতে সাহস পেতনা। বিরোধী মত দমনে সৃষ্টি করা হয়েছে ‘আয়নাঘর’ নামে গুমখানা।
তিনি আরোও বলেন, ছাত্র-জনতার রক্তক্ষয়ী অভ্যুত্থানে এই ফ্যাসিস্ট, দুর্নীতিবাজ শেখ হাসিনা সরকার থেকে দেশবাসী মুক্তি পেলেও ষড়যন্ত্র থেমে নেই। অর্জিত স্বাধীনতাকে নস্যাৎ করার জন্য ষড়যন্ত্রকারীরা দেশে অরাজকতা ও ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি করে শান্তি -শৃঙ্খলা বিনষ্ট করছে। তাই কোনো দুষ্কৃতকারী যাতে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে না পারে, সে জন্য সবাইকে সর্বদা সতর্ক থাকতে হবে। দেশের সংখ্যালঘু ভিন্ন ধর্মাবলম্বিদের নিরাপত্তা শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে। হিন্দুদের মন্দির, তাদের বাড়িঘর এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ পাহারা দেওয়ার জন্য আমি এলাকাবাসীসহ নেতাকর্মীদের অনুরোধ করছি। রাষ্ট্রের এহেন পরিস্থিতিতে যে কোনো অপ্রীতিকর ও অনাকাঙ্খিত বিপর্যয় এড়াতে পাড়া-মহল্লায় প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। রাষ্ট্র মেরামতে রাজনৈতিক দল, ছাত্র-শিক্ষক, ব্যবসায়ী সহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষকে এগিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। নির্বাচনের পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত আমাদের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সার্বিক সহযোগীতা করতে হবে।
আজ ০৯ আগষ্ট (শুক্রবার) বিকেলে দেশব্যাপী সাম্প্রদায়িক হামলা, সহিসংতা বন্ধ ও সংখ্যালঘুসহ দেশের সাধারণ মানুষের সার্বিক নিরাপত্তা প্রদানে ৬নং পূর্ব ওয়াডস্থ বাড়াইপাড়া এলাকা পরিদর্শন এবং পথ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
৬নং পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি হাজী ইলিয়াছ শেকুর সভাপতিত্বে পথসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সাবেক সদস্য আনোয়ার হোসেন লিপু, মহানগর বিএনপির সাবেক মৎস্য বিষয়ক সম্পাদক মো. বকতেয়ার, আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আজিজ। চান্দগাঁও থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন ভুইয়া, মহানগর যুবদল নেতা ম. হামিদ, চান্দগাঁও থানা যুবদলের আহবায়ক গোলজার হোসেন, আকতার হোসেন, আবু বক্কর রাজু, সিরাজুল ইসলাম, ইসকান্দর হোসেন, মো. আলমগীর, নুরনবী, সাইদুল ইসলাম, সাজিদ হাসান রনি, আব্দুল নবী, মোরশেদ কামাল, জামাল উদ্দিন, রেজওয়ান, আলমগীর টিটু, মো. জসিম উদ্দিন, শফিউল্লাহ মামুন, শহীদুল ইসলাম, জালাল উদ্দিন, শামশুল ইসলাম, মো. সরোয়ার, জহুরুল ইসলাম জহির, মিনহাজ উদ্দিন সোহেল, আনিসুর রহমান হিরু, সাদ্দাম হোসেন, সাঈদ ইসলাম বাপ্পী, মো. রহিম, সাফায়েত হোসেন সোহান প্রমুখ।
