
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব এরশাদ উল্লাহ বলেছেন, অহংকারী স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। আওয়ামী লীগ এখন পতিত শক্তি। তবে এ শক্তি এখনো তাদের ষড়যন্ত্র বন্ধ করেনি। তারা সংখ্যালঘুদের ওপর ভর করে অনেক চক্রান্ত করেছে। যা এখনো অব্যাহত আছে। কিন্তু কোনো ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে এ ফ্যাসিস্ট শক্তি বাংলার মাটিতে আর মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবেনা। তারা নৃশংস অত্যাচার, নির্যাতন চালিয়ে শেষ পর্যন্ত ক্ষমতায় টিকে থাকতে চেয়েছে। কিন্তু যার পতন আল্লার দরবারে কবুল হয়, সে হাজার চেষ্টা করেও ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনা। শেখ হাসিনার পতনের পরে বাংলাদেশের মানুষ এখন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে। বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতার যে স্বাদ সেটা অনুভব করতে পেরেছে।
তিনি সোমবার (১৯ আগষ্ট) বিকেলে নগরীর কাজীর দেউরীস্থ ভিআইপি ব্যাঙ্কুয়েট হলে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের র্যালি পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
এতে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান।
এসময় এরশাদ উল্লাহ বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান গুলোর সব সেক্টরে এমন ভাবে দলীয়করণ করেছে যে বাংলাদেশের আনাচে কানাচে আওয়ামী স্বৈরাচারের প্রেতাত্মারা এখনো ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিন্তু আমরা আর বাংলাদেশে কোন স্বৈরাচার দেখতে চাই না। আমরা বাংলাদেশে সুস্থ ধারার রাজনীতি দেখতে চাই। আওয়ামী লীগের মত নতুন জালেম দেখতে চাইনা। আমরা মানুষের মাঝে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করতে চাই।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে নাজিমুর রহমান বলেন, ১৯৭১ সালে ৯মাস যুদ্ধ করে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। আর এই ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিরুদ্ধে ১৭বছর যুদ্ধ করে দ্বিতীয় বার স্বাধীনতা অর্জন করেছি। এই কর্র্র্তৃত্ববাদী সরকারের বিরুদ্ধে যারা যুদ্ধ করেছে তারা সকলে এই প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধা। স্বৈরাচার হাসিনার সরকারের পতনের পরে আজকে মানুষ স্বাধীন ভাবে কথা বলতে পারছেন। সাংবাদিকরা স্বাধীন ভাবে লিখতে পারছে, আজকে বাংলাদেশের বিচার বিভাগকে স্বাধীন ভাবে কাজ করার জন্য বলা হয়েছে। কিন্তু আমরা আর কোন মানবাধিকার লুন্ঠিত হউক সেই কাজ দেখতে চাই না। আমরা চাই বাংলাদেশের জনগণের যে প্রত্যাশা, যে স্বপ্ন, বাংলাদেশের মাটিতে গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত হউক, বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হউক, সেই সরকার বাংলাদেশের জনগণের কথা মতো চলবে। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বাংলাদেশের যে কোনো গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রাম এবং দুর্যোগ, দুর্বিপাকে কিংবা সংকটে একটি দায়িত্বশীল সংগঠন হিসেবে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা সবসময়ই সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। আগামী দিনে সুখী সমৃদ্ধ একটি নতুন বাংলাদেশ গড়তে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলকে ভূমিকা রাখতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান বলেন, ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন হলেও আমরা এখনো পরিপূর্ণ স্বাধীনতার স্বাদ পায়নি। স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা কঠিন। অর্জিত স্বাধীনতা কে নস্যাৎ করতে দেশী বিদেশী ষড়যন্ত্রকারীদের বিএনপির দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরণের প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের এসব ষড়যন্ত্রকারীদের চক্রান্তের বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে হবে এবং সকল প্রোপাগান্ডা মিথ্যা প্রমাণিত করতে হবে চূড়ান্ত বিজয় না হওয়া পর্যন্ত জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের ধৈর্র্য্য ধারণ করে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে।
চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু বলেন, ছাত্র-জনতার উপর গুলি চালিয়ে গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ সরকার বিদায় নিয়েছে। শেখ হাসিনা দেশ ছেড়েছেন। এই গণহত্যাকারীদের বিচার করতে হবে। বিজয়ের এই আনন্দ ধরে রাখতে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা যাবে না। ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের সুযোগ নিয়ে কেউ যেন কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে না পারে তার জন্য স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিটি নেতাকর্মীকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সতর্ক ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু’র সঞ্চালনায় এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি আসাদুজ্জামান দিদার, শহিদুল্লাহ বাহার, সেলিম রেজা, মজিবুর রহমান, খাইরুল আলম দিপু, হারুন আল রশীদ, এড. সাইদুল ইসলাম, মামুনুর রহমান, হারুনুর রশিদ, এন আই চৌধুরী মাসুম, সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া,যুগ্ম সম্পাদক জমির উদ্দিন নাহিদ, সিরাজুল ইসলাম ভূঁইয়া, জসিম উদ্দিন রকি, জহিরুল হক টুটুল, এম. আবু বক্কর রাজু, গোলাম সরোয়ার, আনোয়ার হোসেন এরশাদ, সহ-সাধারণ সম্পাদক দিদার হোসেন, তাজুল ইসলাম নয়ন, আকতার হোসেন, মোখলেছুর রহমান, সাজ্জাদ হোসেন, শাহাদাত হোসেন সোহাগ, ইমদাদুল হক স্বপন, এম এ হানিফ, রাসেল খান, মোঃ হাসান, নিজাম উদ্দিন বুলু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক খান, সাইফুল আলম দিপু, ইকবাল হোসেন রুবেল, মোঃ সেলিম, শাহাজাহান বাদশা, প্রচার সম্পাদক আকবর হোসেন মানিক, সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক লুৎফর রহমান জুয়েল, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক জসিম উদ্দিন, পরিবার বিষয়ক সম্পাদক ডা. মিনহাজুল আলম, সহ-দপ্তর সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, সহ-সাহিত্য সম্পাদক রাশেদ পাটোয়ারী, সহ-পরিবার সম্পাদক জাকির হোসেন মিশু, সহ-ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক ইমরান চৌধুরী জ্যাকসন, সহ-স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক মোঃ পারভেজ, সহ- শিল্প বিষয়ক সম্পাদক মোঃ পারভেজ, সদস্য সাজ্জাদ খান, খাজা স্বপন, বাকলিয়া থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মোঃ দুলাল, চকবাজার থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক রিদোয়ানুল হক, পাঁচলাইশ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক শফিউল আলম শফি, সদরঘাট থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক ইয়াসির আরাফাত, চান্দগাঁও থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সাজিদ হাসান রনি, বায়েজিদ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আলতাফ হোসেন, পাহাড়তলী থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আনিসুজ্জামান টুটুল, বন্দর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক রিয়াজ উদ্দিন রাজু, ডবলমুরিং থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আকতার হোসেন, হালিশহর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আনোয়ারুল কাফি মুন্না, ইপিজেড থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক ইউসুফ সুমন, চকবাজার থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব শহীদুল ইসলাম শহীদ, পাঁচলাইশ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মহিউদ্দিন রুবেল, সদরঘাট থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আনোয়ারুল কাফি মুন্না, চান্দগাঁও থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব শহিদুজ্জামান শহীদ, বায়েজিদ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মোঃ মহিউদ্দিন, পাহাড়তলী থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব এস্কান্দার মির্জা, বন্দর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আরমান শুভ, ডবলমুরিং থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব নোমান শিকদার সোহাগ, হালিশহর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মোঃ মুরাদ, ইপিজেড থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মোঃ মিজান প্রমুখ।