
৪৩তম বিসিএস এর গেজেটেড ১ম শ্রেণীর কর্মকর্তা হিসেবে সহকারী কর কমিশনার পদে নিয়োগ পেয়েছেন সন্দ্বীপ কন্যা সামিয়া নাছির বাঁধন।
ইতিপূর্বে তিনি বিসিএস নন-ক্যাডারে রাঙ্গামাটি প্রাইমারি ট্রেনিং ইনিষ্টিটিউটে (পিটিআই) ইনষ্ট্রাক্টর হিসাবে কর্মরত ছিলেন। শীঘ্রই তিনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সহকারী কর কমিশনার হিসেবে যোগদান করবেন বলে জানা গেছে।
সন্দ্বীপ উপজেলার বিখ্যাত হাজী আব্দুল বাতেন সওদাগর পরিবারের সন্তান সামিয়া নাছির বাঁধন মরহুম হাজী আব্দুল বাতেন সওদাগররের বড় ছেলে হাজী মোক্তাদের মাওলা খোকন মিয়ার নাতনি, এডভোকেট মাকসুদুল মাওলা নাসির ও রওশন আরা বেগমের কন্যা এবং এডভোকেট মাহিদুল মাওলা মুকুটের ছোট বোন।
সামিয়া নাছির বাঁধন ডাঃ খাস্তগীর উচ্চ বিদ্যালয় হতে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি, চট্টগ্রাম কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগ হতে এইচএসসি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী সম্পন্ন করেছেন। এই পরিবারে এই নিয়ে দুজন সরকারের ১ম শ্রেণীর কর্মকর্তা বিসিএস ক্যাডার হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করলেন।
উল্লেখ্য, সামিয়া নাছির বাঁধনের বড় বোন ডাঃ সাবরিনা জাহান মিলি ৩৯তম বিসিএসে স্বাস্থ্য ক্যাডার হিসেবে
নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে বর্তমানে ঢাকায় আইইডিসিআরে রোগতত্ত্ব গবেষণায় উচ্চতর প্রশিক্ষণে আছেন। ডাঃ সাবরিনা জাহান মিলিও ডাঃ খাস্তগীর সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় হতে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি, চট্টগ্রাম কলেজ হতে বিজ্ঞান বিভাগে এইচএসসি ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হতে এমবিবিএস সম্পন্ন করেছেন।
তাঁদের সর্বকনিষ্ঠ বোন ঈষিকা ডাঃ খাস্তগীর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় হতে এসএসসি, চট্টগ্রাম সরকারী মহিলা কলেজ হতে এইচএসসি সম্পন্ন করে বর্তমানে একটি স্বনামধন্য বেসরকারি মেডিকেলে এমবিবিএস ২য় বর্ষে অধ্যায়নরত। সে যেন তার বড়বোনদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে কাঙ্খিত লক্ষ্য পৌঁছে সফলতা
অর্জন করে সে জন্য সকলের দোয়া কামনা করেছেন তার বড় ভাই এডভোকেট মাহিদুল মাওলা মুকুট।
এডভোকেট মাহিদুল মাওলা মুকুট বলেন, আমাদের মা সরকারী স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা রওশন আরা বেগম এবং পিতা প্রবীণ আইনজীবী এডভোকেট মাকসুদুল মাওলা নাসিরের আজন্ম লালিত স্বপ্ন বহু ত্যাগ তিতিক্ষা ও সাধনার মাধ্যমে অর্জিত হয়েছে। সন্তানদেরকে জীবনের এই পর্যায়ে নিয়ে আসার জন্য তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের কথা আমাদের আত্মীয় ও শুভাকাঙ্খীদের সকলের জানা।
তিনি বলেন, আমার দু’বোনের সফলতার পেছনে যাদের অবদান কোন ভাবেই অস্বীকার করার মত না তাদের মধ্য অন্যতম হল তাদের স্বামীগন যথাক্রমে ইঞ্জিনিয়ার হোসেন বাবু এবং ইঞ্জিনিয়ার সালেহ আহমেদ ইফাদ। সংসার জীবনে একজন নারীর তার ক্যারিয়ারের সফলতার জন্য সবচেয়ে বড় বন্ধু ও সহায়তাকারী হল তার স্বামী। না হলে একজন নারীর চলার পথ দূর্গম হয়ে পড়ে। আমি সশ্রদ্ধচিত্তে তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি তাদের সহধর্মিনীদের সফলতার জন্য তাদের ত্যাগ, তিতিক্ষা ও মহানুভবতার জন্য। সকল আত্মীয় স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও শুভাকাঙ্খীগণের কাছে আমার বোনদের জন্য দোয়া প্রার্থনা করছি।