সাংবাদিক এম কে মনিরের ফুফুর দাফন সম্পন্ন

খবরের কাগজের স্টাফ রিপোর্টার, সীতাকুণ্ড যুব উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের সভাপতি সাংবাদিক এম কে মনিরের একমাত্র ফুফু বিবি ফাতেমা বেগমের নামাজে জানাযা শেষে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

বুধবার (৫ মার্চ) রাত ১২টায় সীতাকুণ্ড পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডস্থ সোবহান বাগের মোহন্ত পুকুর পাড়ের কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এর আগে গোডাউন রোড়ে তার নামাজে জানাযা পড়ান মাওলানা জাকির হোসাইন। এসময় গ্রামের শতাধিক মানুষ জানাযায় অংশ নেন।

স্থানীয় বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেন বলেন, ফাতেমা বেগম এই এলাকার মেয়ে আবার এই এলাকারই পুত্রবধূ। তিনি চলনে-বলনে অত্যন্ত ভালো মহিলা ছিলেন। ব্যক্তি জীবনে ছিলেন খুবই পরহেজগার নারী। আমরা সবাই তাকে মাফ করে দিয়েছি।

মরহুমার দেবর আজিম উদ্দিন বলেন, আমার ভাবি নামাজি-কালামি একজন নেককার নারী ছিলেন। পবিত্র রোজার দিনে তিনি দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করেন। আল্লাহ তাকে বেহেশতে নসিব করুক।

বিবি ফাতেমার একমাত্র বড় ভাই নুরুল ইসলাম বলেন, দুনিয়াতে আমার একজনই নাড়ির সম্পর্ক ছিল সে হচ্ছে আমার আদরের বোন। আজ আমার বোন আমার আগে চলে গেছেন। আমি বড় একা হয়ে গেলাম। আল্লাহ যেন আমার বোনকে বেহেশতে নসিব করেন।

এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় ইফতারের পূর্ব মুহুর্তে বিবি ফাতেমা বেগমের কাছে শারীরিক খারাপ লাগে। এসময় তিনি তার স্বামী নেজাম উদ্দিনের কাছে বলতে থাকেন আমার হাত, বুক জ্বালাপোড়া করছে। প্রথমে তার স্বামী হাত মালিশ করে দিলেও যন্ত্রণা বাড়তে থাকে। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথেই তিনি মাগরিবের আজানের মুহূর্তে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন।

মৃত্যুকালে তিনি ৪ মেয়ে, ৪ জামাতা, ১ ছেলে, স্বামী, ১ ভাই, ৪ ভাতিজা, ৪ ভাতিজী, নাতি-নাতনীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

সাংবাদিক এম কে মনির বলেন, ছোটবেলা থেকেই যিনি মায়ের মতো আদরে আগলে রাখতেন তিনি আমাদের একমাত্র ফুফু বিবি ফাতেমা বেগম। নিজের সন্তানের মতোই আমাদের যত্ন করতেন, শাসন করতেন। সেই শাসনের মানুষটাকে আজ হারালাম। যেন আত্মীয়ের অর্ধেককে আজ হারিয়ে ফেললাম। আল্লাহ ওনাকে বেহেশতে নসিব করুক।

এদিকে এম কে মনিরের ফুফুর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে সীতাকুণ্ড প্রেস ক্লাব, সীতাকুণ্ড যুব উন্নয়ন ফাউন্ডেশন নেতৃবৃন্দ। সীতাকুণ্ড প্রেস ক্লাবের আহ্বায়ক ও দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম, সংগঠনটির সদস্য সচিব ও দৈনিক ইনকিলাবের সাংবাদিক মেহেদী হাসান এক যৌথ বিবৃতিতে শোক প্রকাশ করেন। নেতৃবৃন্দ বলেন, সাংবাদিক এম কে মনির আমাদেরই সহকর্মী। তার ফুফুর মৃত্যুতে সীতাকুণ্ড প্রেস ক্লাবের সকল সাংবাদিক শোকাহত। আল্লাহ মরহুমাকে জান্নাতুল ফেরদৌসে নসিব করুক। আর এম কে মনিরের পরিবারকে এই শোক সইবার তৌফিক দান করুক। একইসাথে শোক বিবৃতি দিয়েছে সমাজসেবা ও যুব উন্নয়নমূলক সংগঠন সীতাকুণ্ড যুব উন্নয়ন ফাউন্ডেশন।