
একমাত্র ফুফুকে হারিয়েছেন খবরের কাগজের চট্টগ্রাম ব্যুরো অফিসের স্টাফ রিপোর্টার এম কে মনির। বুধবার (৫ মার্চ) সন্ধ্যা আনুমানিক সাতটার দিকে তার ফুফু বিবি ফাতেমা বেগমকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে স্ট্রোকে তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৪৯ বছর।
মৃত্যুর বিষয়টি এম কে মনির নিজেই নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মাগরিবের সময় ইফতার শেষে নামাজও পড়েন তার ফুফু বিবি ফাতেমা বেগম। এরপর হঠাৎ করে শরীর খারাপ করলে বড় মেয়ে জেসমিন আক্তার সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাচ্ছিলেন। এসময় পথেই তিনি স্ট্রোকে মৃত্যুবরণ করেন। পরে তাকে পাশ্ববর্তী মেয়ের বাড়িতে নেওয়া হলেও খানিক বাদে স্বজনরা গিয়ে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আজ রাত ১২টায় সীতাকুণ্ড পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডস্থ সোবহান বাগের।সামাজিক কবরস্থানে মা-বাবার পাশেই তাকে নামাজে জানাযা শেষে দাফন করা হবে। মৃত্যুকালে ফাতেমা বেগম ৪ মেয়ে, ৪ জামাতা, ১ ছেলে, স্বামী, ১ ভাই, ৪ ভাতিজা, ৪ ভাতিজী, নাতি-নাতনীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
সাংবাদিক এম কে মনির বলেন, ছোটবেলা থেকেই যিনি মায়ের মতো আদরে আগলে রাখতেন তিনি আমাদের একমাত্র ফুফু বিবি ফাতেমা বেগম। নিজের সন্তানের মতোই আমাদের যত্ন করতেন, শাসন করতেন। সেই শাসনের মানুষটাকে আজ হারালাম। যেন আত্মীয়ের অর্ধেককে আজ হারিয়ে ফেললাম। আল্লাহ ওনাকে বেহেশতে নসিব করুক।
এদিকে এম কে মনিরের ফুফুর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে সীতাকুণ্ড প্রেস ক্লাব, সীতাকুণ্ড যুব উন্নয়ন ফাউন্ডেশন নেতৃবৃন্দ। সীতাকুণ্ড প্রেস ক্লাবের আহ্বায়ক ও দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম, সংগঠনটির সদস্য সচিব ও দৈনিক ইনকিলাবের সাংবাদিক মেহেদী হাসান এক যৌথ বিবৃতিতে শোক প্রকাশ করেন। নেতৃবৃন্দ বলেন, সাংবাদিক এম কে মনির আমাদেরই সহকর্মী। তিনি আমাদের আহ্বায়ক কমিটির সম্মানিত সদস্য ও সিনিয়র সাংবাদিক। তার ফুফুর মৃত্যুতে সীতাকুণ্ড প্রেস ক্লাবের সকল সাংবাদিক শোকাহত। আল্লাহ মরহুমাকে জান্নাতুল ফেরদৌসে নসিব করুক। আর এম কে মনিরের পরিবারকে এই শোক সইবার তৌফিক দান করুক। একইসাথে শোক বিবৃতি দিয়েছে সমাজসেবা ও যুব উন্নয়নমূলক সংগঠন সীতাকুণ্ড যুব উন্নয়ন ফাউন্ডেশন।