টানেল ও সংযোগ সড়ক চালু হলে দক্ষিণ চট্টগ্রামের অর্থনীতিতে আসবে বৈপ্লবিক পরিবর্তন

নিজস্ব প্রতিনিধি: ইতোমধ্যেই ৩৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে, দক্ষিণ চট্টগ্রামের আনোয়ারা প্রান্তের ছয় লেনের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান (কর্ণফুলী) টানেল সংযোগ সড়কের কাজ। কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে শিকলবাহার ওয়াই জংশন থেকে আনোয়ারা সদর ও কালাবিবির দীঘি পর্যন্ত চলছে এ সংযোগ সড়ক নির্মাণকাজ। বিদ্যমান সড়ক সম্প্রসারিত হয়ে রূপ নিচ্ছে টানেল সংযোগ সড়কে। এর মাধ্যমেই সংযুক্ত হতে যাচ্ছে একদিকে চট্টগ্রাম মহানগর এবং আরেক দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক। ৪০৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ছয় লেনের, ১১ কিলোমিটার এ সড়কটির মধ্যে চারলেন হবে দ্রুত গতির গাড়ি চলাচলের জন্য। আর বাকি দুলেন হবে ধীরগতির গাড়ি চলাচলের জন্য। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে নির্ধারিত সময়ের আগেই কাজ শেষ করার আশাবাদ প্রকল্প পরিচালকের। এক তৃতীয়াংশ কাজ শেষ হয়েছে বলে জানান সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন সিংহ। টানেল সংযোগ সড়কের প্রকল্প পরিচালক সুমন সিংহ আরো বলেন, এই মুহূর্তে সংযোগ সড়কের কাজ শেষ হয়েছে ৩৫ শতাংশ। ২০২২ এর মধ্যে প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা। আমরা আশা করছি, এই সময়ের মধ্যেই আমরা প্রকল্প শেষ করব। টানেলের প্রকল্প পরিচালক জানান, এর ফলে যানজট যেমন কমবে তেমনি কর্ণফুলীর দক্ষিণ প্রান্তে অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান (কর্ণফুলী) টানেলের প্রকল্প পরিচালক হারুনুর রশিদ বলেন, এই টানেল কাজ শুরু করলে চট্টগ্রামের যানজট নিরসন হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান (কর্ণফুলী) টানেলের মূল দৈর্ঘ্য তিন দশমিক ৩২ কিলোমিটার। টানেলের প্রতিটি টিউবের দৈর্ঘ্য ২ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার এবং ব্যাস ১০ দশমিক ৮০ মিটার। এটি চালু হলে বছরে অন্তত ৬৩ লাখ গাড়ি চলাচল করবে