শিশুবান্ধব হাসপাতাল বিষয়ক কর্মশালার উদ্বোধন; এসডিজি অর্জনের লক্ষ্যে শিশু মৃত্যুর হার কমিয়ে আনতে হবে ঃ স্বাস্থ্য পরিচালক

প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর বলেছেন, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জনের লক্ষ্যে দেশে শিশু মৃত্যুর হার কমিয়ে আনতে হবে। এ লক্ষ্যে সরকারী হাসপাতালের সাথে দেশের বেসরকারী হাসপাতালগুলোকে শিশুবান্ধব হাসপাতালে রূপান্তর করতে সরকার সময়োপযোগী উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে সরকারী-বেসরকারী পর্যায়ে ডাক্তার-নার্সদের আরও আন্তরিক হতে হবে। আজ ১৬ ফেব্রæয়ারি ২০২২ ইংরেজি বুধবার সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম নগরীর সিনেমা প্যালেস সংলগ্ন লয়েল রোডের বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের সম্মেলন কক্ষে বেসরকারী হাসপাতালের ডাক্তার-নার্সদের নিয়ে দ্বিতীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত “শিশুবান্ধব হাসপাতাল কর্মসূচী” বিষয়ক ২ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনায় বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক কার্যালয় কর্মশালার আয়োজন করেন। তিনি বলেন, শিশুকে সম্পূর্ণ সুস্থ রাখতে হলে জন্মের পর পর প্রথম ৬ মাস অবশ্যই বুকের দুধ দিতে হবে। জন্মের সাথে সাথে মায়ের শাল দুধই শিশুর প্রথম টিকা ও খাবার। এর পর দুই বছর পর্যন্ত বুকের দুধ খাওয়ানোর পাশাপাশি ঘরে তৈরী শিশুর উপযোগী তরল, সুষম ও পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার দিতে হবে। তাহলে শারীরিক-মানসিক বিকাশ সাধনসহ শিশুটি বুদ্ধিমান হবে। মায়ের দুধের বিকল্প হিসেবে যে সব গুঁড়ো দুধ বাজারে বিক্রি হয় সেগুলো শিশু স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। বুকের দুধের পরির্বতে এগুলো খাওয়ালে শিশুরা অপুষ্টিতে ভূগে ও বিভিন্ন জঠিল রোগে আক্রান্ত হয়। দেশী-বিদেশী এক শ্রেণীর অসাধু কোম্পানী হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে শিশুদের জন্য মায়ের দুধের পরির্বতে গুড়োঁ দুধের প্রচার প্রচারণা চালায়। তাদেরকে হাসপাতাল ও ডাক্তারের চেম্বার বা ক্লিনিক থেকে বয়কট করতে হবে। হাসপাতাল ও কিনিক্লগুলোতে গুড়োঁ দুধের প্রচারণা বন্ধে ডাক্তারসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক বলেন, সরকারের একার পক্ষে স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়ন সম্ভব নয়। বিভিন্ন সমস্যা থাকা সত্তে¡ও করোনা-ওমিক্রন মোকাবিলার পাশাপাশি স্বাস্থ্যখাতে রাজধানী ঢাকার তুলনায় চট্টগ্রাম এখনো পর্যন্ত সুনামের সাথে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা ডাক্তার- নার্সগণ আরও আন্তরিক হলে শিশুবান্ধব হাসপাতাল ও পরবর্তীতে নারীবান্ধব হাসপাতাল গড়াসহ চট্টগ্রামে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় ঈর্ষনীয় সাফল্য আসবে। চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য কার্যালয়ের জুনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা মুহাম্মদ হোসাইনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় উপ-পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মোঃ শাখাওয়াত উল্লাহ ও সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. সুমন বড়–য়া। কর্মশালার উদ্বোধনী দিনে মাতৃ ও শিশুস্বাস্থ্য বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক (শিশু) ডা. জেবীন চৌধুরী ও চট্টগ্রাম ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. রওশন আরা বেগম শিমুল। কর্মশালায় নগরীর বেসরকারী ডেল্টা হাসপাতাল, ট্রিটমেন্ট হাসপাতাল, মেট্টোপলিটন হাসপাতাল ও রয়েল হাসপাতালের ৫০ জন ডাক্তার- নার্স অংশ নেন।