মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের বড়লেখায় করোনার টিকা দেওয়াকে কেন্দ্র করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এর অফিস সহায়ক প্রনব চন্দ্র দাস (২৬) নামে ১জন আহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে রোজ বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা দুইটার দিকে হাসপাতালের জরুরী বিভাগের সামনে। এ ঘটনায় আহত হাসপাতাল কর্মকর্তা প্রনব চন্দ্র দাস ঘটনাকারী মাশরাফি আলম মাহীকে প্রধান ও ৭/৮জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। সিসি ক্যামেরার ফোটেজ দেখে পুলিশ অন্যান্য হামলাকারীদের সনাক্তের চেষ্টা চালাচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার সকাল নয়টা থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১২-১৭ বছর বয়সি শিক্ষার্থীদের তৃতীয় তলায় করোনার টিকা দেওয়া হচ্ছে। অফিস সহকারী প্রনব চন্দ্র দাস ছাত্র- ছাত্রীদের টিকাদান কক্ষে শৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্ব পালন কালিন সময়ে মাশরাফি আলম মাহীসহ ৭/৮ যুবক জোর পুর্বক এই কক্ষে ঢুকে টিকানেয়ার চেষ্টা করে। এসময় প্রনব চন্দ্র দাস তাদেরকে শিক্ষার্থী ব্যতিত অন্যদের টিকা এই কক্ষে দেয়া হচ্ছেনা বলে জানান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অফিস সহকারি প্রণব চন্দ্র দাস, টিকা কার্যক্রমে নিয়োজিত নার্স ও ব্রাদারদের অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে হাসপাতালের নিচে চলে যায়। প্রায় আধঘন্টা পর মাশরাফি আলম মাহী প্রণব দাসকে ডেকে হাসপাতালের নিচে নামিয়ে আরো ৭/৮ যুবকসহ তাকে বেধড়ক পেটাতে থাকে। প্রত্যক্ষদর্শীরা প্রণব দাসকে দুস্কৃতিকারীদের থেকে উদ্ধার করেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রত্বদ্বীপ বিশ্বাস জানান, জোরপূর্বক টিকা নিতে ব্যর্থ হয়ে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে। কয়েকজন যুবক সংঘবদ্ধভাবে হাসপাতালের এক কর্মকর্তাকে ব্যাপক মারধর করেছে। এতে করে ঐ কর্মকর্তার শরীরের বিভিন্ন অংশে জখম হয়। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। হামলার ঘটনায় আহত অফিস সহকারি প্রণব চন্দ্র দাস থানায় অভিযোগ করেছেন। বড়লেখা থানার ওসি (তদন্ত) রতন চন্দ্র দেবনাথ সাথে সন্ধ্যায় যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, হাসপাতাল কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আসামি সনাক্তের জন্য হাসপাতালের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে অন্যান্য আসামীদের সনাক্তের চেষ্টা চলছে। এখন পর্যন্ত কোন আসামিকে আটক করা হয়নি। আটকের জন্য পুলিশি অভিযান পরিচালনা চলছে।