ফুলবাড়ীয়া (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধিঃ আকস্মিকভাবে সয়াবিন তৈলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে গ্রাম অঞ্চলের সরিষার তেলের চাহিদা অনেক বেড়ে গেছে। এসব অঞ্চলের সরিষার মিলগুলোতে আগের তুলনায় সরিষার তেল ভাঙ্গানো হচ্ছে ডাবল। বিক্রিও হচ্ছে বেশী। ফুলবাড়ীয়া উপজেলায় আকস্মিকভাবে সয়াবিন তৈলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে গ্রাম অঞ্চলের সরিষার তেলের চাহিদা অনেক বেড়ে গেছে। এসবন অঞ্চলের সরিষার মিলগুলোতে আগের তুলনায় সরিষার তেল ভাঙ্গানো হচ্ছে ডাবল। বিক্রি ও হচ্ছে বেশী। মানুষ সয়াবিন নির্ভরতায় অনেকাংশে কমে যাচ্ছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ফুলবাড়ীর উপজেলার শিবগঞ্জ বাজার এলাকায় বকতর ব্যাপরী ও তার ছেলে রৌদে সরিষা শুকাচ্ছে। কথা বলে জানা যায আগের তুলনায় এখন সরিষার তৈলের চাহিদা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে যেখানে প্রতি সপ্তাহে ২ মণ সরিষার তৈল ভাঙ্গানো হত এখন সেখানের প্রায় ৪ মণ তৈল ভাঙ্গাতে হয়। ১ কেজির খাঁটি সরিষার তৈল আমরা বিক্রি করি ২২০ থেকে ২৪০ টাকা। এক মণ সরিষার দাম ৩৫শতটাকা থেক ৩৬শত টাকা। এক মণ কাঁচা সরিষায় ১৩ থেক ১৪ কেজি তৈল হয়। এছাড়া একমণ সরিষায় ২৩থেকে ২৫ কেজি খৈল হয় থাকে । খৈল প্রতি কেজি বিক্রি হয় ৩৬টাকা থেকে ৩৮ টাকা দরে । বৈলাজান গ্রােেমর দুলাল মিয়া বলেন, এক সময় গ্রামাঞ্চলের সবাই সরিষার আবাদ করত। এছাড়া সকলেই সরিষার তৈল ক্ষেত। তখন সয়াবিন তৈল ছিল না। সপ্তাহে এক থেকে দুইদিন হাঁট বসত। হাট বারে বাজার থেকে কাঁচের বোতলে সরিষার তৈল ক্রয় করা হতো। বড় পরিবার হাটবারে সর্বোচ্চ ১ পোয়া তৈল কিনতেন। এখন সেখানে ২ থেকে ৪ লিটার সুয়াবিন তৈল কিনতে হয়। পুটিজানা গ্রামের মোখলেছুর রহমান খান বলেন, ছোট বেলায় আমরা যখন বাজারে যেতাম তখন দেখতাম বাজারে প্রবেশ মূখে খোলা টিনে সরিষার তৈল, কেরোসিনের তৈল ও নারিকেল তৈলের অস্থায়ী দোকান বসত। মানুষ কাঁচের বোতল রেখ যেত আর বাজার শেষে বাড়ী ফেরার পর বোতল ভর্তি সরিষার তৈল দিয়ে আসত। সন্ধ্যার পর ঐসব দোকানে ভিড় জমে থাকত। মনোহরী দোকানদার আ” কশুুছ বলেন, সুয়াবিন তেলের বোতল বা খোলা তেল বিক্রি অনেকটা কমে গেছে । তবে সরিষার তেলে বেশী বিক্রি হচ্ছে ।