
বাদল রায় স্বাধীন: সন্দ্বীপ টাউন জগন্নাথ দেবালয়ের ৫৪তম নাম সংকীর্তন যজ্ঞ ও মহোৎসবের অধিবাস সহ মোট ৪ দিনের অনুষ্ঠানের সফল সমাপ্তি ঘটলো বিগত সময়ের রেকর্ড ভেঙ্গে। প্রচুর ভক্তের উপস্থিতিতে ৪ দিনই মন্দির প্রাঙ্গন কানায় কানায় ভরে উঠে প্রতিনিয়ত মুখরিত ছিলো মন্দির প্রাঙ্গন সহ আশপাশের পরিবেশ ।দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত ৫ টি কীর্তনীয়া দলের মধুর কীর্তন পরিবেশনের মধ্য দিয়ে একটি স্বর্গীয় আবহ ও অনুভুতিতে ভরে উঠেছিলো দেবালয়। এছাড়াও প্রতিদির রাতে ও দিনে প্রায় ২ সহস্রাধীক করে ভক্তনাম শ্রবন ও প্রসাদ গ্রহন করেছেন।
১৯ ডিসেম্বর প্রথম দিনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সন্দ্বীপ পৌরসভার জননন্দিত মেয়র জ্বনাব মোক্তাদের মাওলা সেলিম।ওনার আগমনের পর একটি সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মন্দির কমিটির সভাপতি মাষ্টার বল্লভ কৃষ্ণ মুখার্জী। দেবালয়ের সাধারন সম্পাদক বাদল রায় স্বাধীনের উপস্থাপনায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন মেয়র সেলিম সহ ওয়ার্ড আওয়ামীলিগের সাধারন সম্পাদক দিদার বাঙ্গালী,পৌরসভা আওয়ামীলিগের দপ্তর সম্পাদক মোঃ সাইফুল ইসলাম ও পৌরসভা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ ফয়সাল উদ্দিন। সভা শেষে আগত ভক্তদের সাথে ভাব বিনিময়ের পর তিনি মন্দিরের সকল অবকাঠামোগত উন্নয়ন পরিদর্শন করেন এবং এক পর্যায়ে আগত ভক্তদের প্রসাদ বিতরনের দৃশ্য দেখে তিনি নিজের হাতে প্রসাদের উপকরন নিয়ে ভক্তদের মাঝে প্রসাদ বিতরন শুরু করলেন অত্যান্ত আগ্রহ ও আনন্দের সহিত।এতে উপস্থিত ভক্তরা অত্যান্ত আবেগাপ্লুত হয়ে হরিধনি, উলুধ্বনী ও শঙ্খ ধ্বনি দিয়ে আনন্দের বহিঃপ্রকাশ ঘটান।
সংক্ষিপ্ত সভায় মেয়র সেলিম এতো ভক্তদের উপস্থিতি ও প্রতিদিন প্রসাদের ব্যবস্থা রয়েছে শুনে প্রসাদের জন্য ১০ বস্তা চাউল দেবেন বলে ঘোষনা দেন। এছাড়াও মন্দির পুকুর পাড় সংলগ্ন গাইডওয়াল ও একটি কালভার্ট নির্মানের প্রতিশ্রুতিও দিলেন তিনি। এবং সেগুলো সম্প্রতি দ্রুত বাজেট প্রনয়ন করার জন্য পৌর প্রকৌশলীকে নির্দেশ দিলেন তাৎক্ষনিক। মেয়রের এ সমস্ত অসাম্প্রদায়িক আচরন ও চেতনাবোধ এবং উন্নয়ন প্রতিশ্রুতির জন্য মন্দির কমিটি, এলাকার লোকজন ও আগত অতিথি বৃন্দ ভূয়সী প্রশংসা করে ওনার সুস্থ ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।