জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক কার্যালয়ে আলোচনা সভা

প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি, স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে ১৭ মার্চ ২০২২ ইংরেজি বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর রয়েল রোডস্থ চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক কার্যালয়ের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়। স্বাস্থ্যভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসের শুভ সূচনা করা হয়। সকাল সাড়ে ৯টায় স্বাস্থ্য পরিচালক কার্যালয়ের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিভাগীয় উপ-পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মোঃ শাখাওয়াত উল্লাহ, চট্টগ্রাম ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত¡াবধায়ক ডাঃ শেখ ফজলে রাব্বিসহ চট্টগ্রাম স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।

এদিকে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সকাল ১০টায় স্বাস্থ্য পরিচালক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিভাগীয় উপ-পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মোঃ শাখাওয়াত উল্ল্যাহর সভাপতিত্বে ও জুনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা মুহাম্মদ হোসাইনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বক্ষব্যাধি হাসপাতালের তত্ত¡াবধায়ক ডা. এস.এম নুরুল করিম, জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট (মেডিসিন) ডাঃ আবদুর রব, কেন্দ্রীয় চর্ম ও সামাজিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. সঞ্জয় প্রসাদ দেব, জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এমওডিসি ডা. মোহাম্মদ নুরুল হায়দার ও পোর্ট হেলথ অফিসার ডা. মোহাম্মদ জাবেদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য পরিচালক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. সুমন বড়–য়া। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের জেলা স্বাস্থ্য তত্বাবধায়ক সুজন বড়–য়া। সভায় বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক কার্যালয়, চট্টগ্রাম ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, বাঙালী জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন মহান স্বাধীনতা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পাকিস্তানি শাসকদের শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে এক রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী প্রতিটি বাঙালীর কাছে আনন্দের ও গৌরবের। মুজিব শতবর্ষ থেকে আরম্ভ করে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন প্রতিটি বাঙালীকে গৌরবদীপ্ত ও আনন্দিত করে। জাতির জীবনের গুরুত্বপূর্ণ দিবসগুলো শিশুদের সামনে তুলে ধরা উচিত। শিশুরা জানবে তাদের অতীত। শিশুদের জানানো উচিত আমরা এ স্বাধীন দেশ রক্ত সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অর্জন করেছি। স্বাধীনতার পর জাতির জনকের জীবিতাবস্তায় ১৩৪ টি দেশ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছে। এসময় জাতির জনকের রাজনৈতিক ও বাঙ্গালির মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাস তুলে ধরেন তিনি।