প্রেস বিজ্ঞপ্তি: নগরীর রাস্তাঘাট সংস্কারের কাজে গতিশীলতা আনায়নে চসিক সংগৃত নতুন মেনটেইন্যান্স ট্রাক দিয়ে রাস্তা সংস্কার কাজের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। উদ্বোধনকালে মেয়র বলেন, সড়ক সংস্কারে আধুনিক প্রযুক্তি সম্বলিত রোড মেনটেইন্যান্স ট্রাক ব্যবহারের ফলে সময় ও অর্থ দুটিই রোধ হবে। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন ট্রাকগুলো অত্যন্ত জনপ্রিয়। তিনি বলেন, বাংলাদেশে চসিকই প্রথম রোড মেনটেইন্যান্স ট্রাকগুলো সংগ্রহ করেছে। রাস্তায় গর্ত বা ফাটল দেখা দিলে এই ট্রাকের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক মেরামতের ফলে আরো বড় গর্ত বা ফাটল থেকে রাস্তাকে রক্ষা করা যাবে। বর্ষা মৌসুমেও রাস্তা মেরামতে কোন ধরণের অসুবিধা হবে না। মেয়র বলেন, এই ট্রাকগুলো ব্যবহারের ফলে আলাদা এসফল্ট প্লান্টের প্রয়োজন হবে না। তাৎক্ষণিক মিক্সার তৈরী করা যাবে। তাই বৃষ্টি বাদল বা দুর্যোগের কারণে মেরামত কাজ স্থগিত হলে মিক্সার নষ্ট হবে না, যেখানে এসফল্ট প্লান্টে তৈরী করা মিক্সার নষ্ট হয়ে যায়। রোড মেনটেইন্যান্স ট্রাকগুলোতে উন্নতমানের ইমালশন ব্যবহারের ফলে কাজের গুণগত মান বজায় থাকবে এবং দীর্ঘস্থায়ী হবে। তিনি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত অপারেটর, চালক ও মেকানিকদের রোড মেনটেইন্যান্স ট্রাকগুলোর যথাযথ ব্যবহারের উপর গুরুত্বারোপ করেন। এই আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বর্ষা মৌসুমেও রোড মেনটেইন্যান্স কাজ করার সক্ষমতা অর্জন করেছে চসিক।
আজ রোববার সকালে সি.আর.বি সাত রাস্তার মোড়ে আধুনিক মেনটেইন্যান্স ট্রাক দিয়ে রাস্তা সংস্কার কাজের উদ্বোধনকালে তিনি একথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) সুদীপ বসাক, নির্বাহী প্রকৌশলী বিপ্লব দাশ, মির্জা ফজলুল কাদের, জয়সেন বড়ুয়া, তৌহিদুল আলম, পরিচ্ছন্ন পরিদর্শক প্রণব শর্মা, সিবিএ’র সভাপতি ফরিদ আহমদ, সহ-সভাপতি জাহেদুল আলম চৌধুরী। মেয়র আরো বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ জলজট থেকে পরিত্রাণের জন্য আধুনিক প্রযুক্তির উপর জোর দেয়া হচ্ছে। নগরীতে ৫৭টি খাল ও ৬৫০কি.মি. নালা পরিস্কার করবে চসিক। জানুয়ারীর প্রথম সপ্তাহ থেকে ৫৯৮টি নালার তালিকা নিয়ে মেগা প্রকল্পের বাইরে থাকা খাল ও বড় নালার তালিকা চেয়ে সিডিএকে চিঠি দিচ্ছে চসিক। এই তালিকা পাওয়ার পর কাজের দ্বৈততা দূর হবে। তিনি জানান, খাল নালাগুলোতে যেখানে মাটি জমে আছে সেই মাটিগুলো অপসারণ করে পানি চলাচল স্বাভাবিক গতি ফিরিয়ে আনা হবে। তিনি মাটি উত্তোলন কাজ পরিচালনা করার জন্য ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশনা প্রদান করেন। আগামী বর্ষার আগ পর্যন্ত নগরের নালা-নর্দমার মাটি উত্তোলনের কাজ চলমান থাকবে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।