
মোঃ ইমাম উদ্দিন সুমন, নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার ১নং চর জব্বর ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান সুবর্ণচর উপজেলা আ”লীগের সভাপতি এডভোকেট ওমর ফারুক এবং ৫নং চর জুবিলী ইউপিতে সুবর্ণচর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন- আহব্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সাইফুল্যাহ খসরু দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। এ সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। ৫ নং চরজুবিলী ইউনিয়নে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান সাইফুল্যাহ খসরু সভাপতিত্বে চর জুবিলীর সচিব মোঃ নাঈম এর সঞ্চালনায় ১নং চর জব্বর ইউপিতে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট ওমর ফারুক এর সভাপতিত্বে চর জব্বর ইউপির সচিব ঈমাম উদ্দিন আনছারির পরিচালনায় সোমবার (২১ মার্চ) বিকেল ৩টায় চর জুবিলী ও ৪টায চরজব্বর ইউপিতে এ উপলক্ষে চর জব্বর ও চর জুবিলী ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে দায়িত্বভার গ্রহণ ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দায়িত্বভার গ্রহণ ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী ৪ সদর সুবর্ণচরের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী এমপি।
প্র্রধান অতিথির বক্তব্যে একরামুল করিম চৌধুরী বলেন- “কুচক্রি মহল দল কে ছিন্নভিন্ন করতে চায়, সুবর্ণচরের জন্য একটা কালোহাত হলো খায়রুল আনম সেলিম, এই ভদ্রলোক একটা মানুষরূপী দানব। ‘ আমি এম,পি না হলে বুঝতামনা সে ৪০ বছর চেয়ারম্যান থেকে শোষণ করেছেন হিন্দুদের কানি কানি জমি দখল করেছেন, আপনি এখন বহিষ্কার লীগের আহবায়ক হয়েছেন। তিনি আরও বলেন, আমার চোখের সামনে আমার দল কে ছিন্নভিন্ন করে দিতে চায় তারা, ১ নং চর জববার এর সাবেক চেয়ারম্যান তরিক উল্যাহ থেকে ৫০ লক্ষ নিয়ে নৌকার নমিনেশন দিয়েছেন, এখন সেই জায়েজ করার জন্য রাজাকারের বংশধর কে সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বানাতে চান, আমি ও আমার ছাত্রলীগ যুবলীগ একটা রাজাকারের বংশধর কে এটা হতে দেব না। রাজাকারের কোন বংশধর আওয়ামীলীগের সভাপতি হতে পারে না ।
এম,পি আরও বলেন, “আজকে নোয়াখালীর রাজনীতি যখন সারা বাংলাদেশের আদর্শের মডেল, যাকে সভাপতি বানানোর জন্য আমি ছয় কোটি টাকা খরচ করেছি সেই বেইমান ওবায়দুল কাদেরর তালে পড়ে আমাকে দল থেকে বাহির করে দেওয়ার চেষ্টা করেছে , আমি কিছু বলি নাই কোথাও ডুকতে পারতেন না কারন নানক ভাই মাধ্যমে নেত্রী চার বার ফোন করে চুপ থাকতে বলেছেন। নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট ওমর ফারুক ও সাইফুল্যাহ খসরু বক্তৃতায় বলেন, আমাদের ইউনিয়নকে একটি মডেল ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তুলতে সালিশ বাণিজ্য, মাদক আর জুয়ার প্রতিরোধ করা আমার প্রথম কাজ। মাদক আগামী প্রজন্মকে ধ্বংস করলে দেশ পিছিয়ে যাবে।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, ২ নং চরবাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম রাজীব, ৩ নং চর ক্লার্ক ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এডঃ আবুল বাসার, চর ওয়াপদা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ডাক্তার আব্দুল মান্নান, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সালমা সুলতানা চৌধুরী, কথা সাহ্যিতিক কবি ও লেখক সিরাজুল ইসলাম মুনির, বিশিষ্ঠ সমাজ সেবক ছায়েদল হক ভূঁইয়া, চরজববর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল্যাহ, আওয়ামি লীগ নেতা, নুর হোসেন পন্ডিত, মিজানুর রহমান দিপন, মানিক মেম্বার, বশির উদ্দিন, উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক আবদূল আল মামুন জাবেদ, সাংবাদিক, সকল ওযার্ডের মেম্বারগণ, সামাজিক রাজনৈতিক নেতা কর্মিরা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য যে, গত ১০ ফেব্ররুয়ারি শেষ ধাপে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে দুইজনেই আনারস প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হন। সভা শেষে নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।