প্রেস বিজ্ঞপ্তি: গত ০৮ মার্চ ২০২২ইং তারিখ রাত আনুমানিক ০২১০ ঘটিকায় মোছাঃ রুপসানা আক্তার (ইউপি সদস্য), সাং- পশ্চিম ছিলোনিয়া, থানা ও জেলা- ফেনী এর বাড়িতে অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জন মুখোশধারী ডাকাত দল তার বসত ঘরের দরজার পাশের টিনের বেড়া ভেঙ্গে রুমের ভিতর প্রবেশ করে এবং রুমে থাকা ভিকটিম, তার স্বামী ও ছেলে/মেয়েকে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে চুপ থাকতে বলে। পরবর্তীতে জোড়পূর্ব তাদের ঘরে থাকা নগদ ১,২৫,০০০ টাকা, আনুমানিক ০৩ ভরি স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোনসহ অন্যান্য জিনিস লুট করে নিয়ে ডাকাত দল পালিয় যায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ভিকটিম ইউপি সদস্য মোছাঃ রুপসানা আক্তার বাদী হয়ে ফেনী জেলার ফেনী মডেল থানায় ৭/৮ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করেন, যার নং- ১৯, তারিখ ০৮ মার্চ ২০২২ ধারা ৩৯৫/৩৯৭ পেনাল কোড ১৮৬০।
গত ১৮ মার্চ ২০২২ইং তারিখ রাত আনুমানিক ০২১৫ ঘটিকায় ভুক্তভোগী মোঃ আলমগীর, সাং- উত্তর গোবিন্দপুর, থানা ও জেলা- ফেনী এর মা মনোয়ারা বেগম প্রাকৃতিক ডাকে ওয়াশ রুমে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বসত ঘরের দরজা খুলে বাহির আসলে অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন মাক্স পরিহিত ব্যক্তি তার মাকে মুখ চেপে ধরে রুমের ভিতর নিয়ে যায় এবং রুমের ভিতর ঘুমিয়ে থাকা সবাইকে হাত পা বেধে ফেলে। পরবর্তীতে দুস্কৃতিকারীরা ভিকিটিম মোঃ আলমগীরের রুমে ঢুকে রুমে থাকা সবাইকে মারধর ও অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জিম্মি করে রেখে তাদের ঘরে থাকা নগদ ২,০০,০০০ টাকা, আনুমানিক ১৭ ভরি স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোনসহ অন্যান্য জিনিস লুট করে নিয়ে ডাকাত দল পালিয় যায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ভিকটিম মোঃ আলমগীর বাদী হয়ে ফেনী জেলার ফেনী মডেল থানায় ৩/৪ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করেন, যার নং- ৩৮, তারিখ ১৮ মার্চ ২০২২ ধারা ৩৯৪ পেনাল কোড ১৮৬০।
এছাড়াও গত ২৬ মার্চ ২০২২ইং তারিখ রাত আনুমানিক ০২০০ ঘটিকায় ভুক্তভোগী মোঃ নূর নবী@ শিমুল, পিতা- আমিনুল হক, সাং- পূর্ব চরসাহাবিকারী, থানা- সোনাগাজী, জেলা- ফেনী এর বসত ঘরের দরজার ভেঙ্গে অজ্ঞাতনামা কয়েকজন ডাকাত তার রুমে প্রবেশ করে। ডাকাত দল তাৎক্ষণিক রুমে প্রবেশ করে ভিকটিম নূর নবীসহ সবাইকে হাত বেধে মুখের উপর গামছা ও ওড়না দিয়ে ঢেকে ফেলে এবং দেশীয় ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে ভয় ভীতি প্রদর্শন করে রুমে থাকা নগদ টাকা ও স্বর্নালংকারসহ দামী জিসিন পত্র যা আছে সেগুলো দিতে বলে। পরবর্তীতে ডাকাত দল নিজেরাই রুমের বিভিন্ন জায়গায় রক্ষিত নগদ ১,৫৫,০০০ টাকা, আনুমানিক ১১ ভরি স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোনসহ অন্যান্য জিনিস লুট করে নিয়ে পালিয় যায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ভিকটিম মোঃ নূর নবী@ শিমুল বাদী হয়ে ফেনী জেলার সোনাগাজী থানায় ৭/৮ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করেন, যার নং- ২২, তারিখ ২৬ মার্চ ২০২২ ধারা ৩৯৭ পেনাল কোড ১৮৬০।
উপরোক্ত ডাকাতির ঘটনা গুলো র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গুরুত্বে সহিত আমলে নিয়ে উল্লেখিত ডাকাতির সাথে জড়িতদরে গ্রেফতারে লক্ষ্যে ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারী এবং ছায়াতদন্ত শুরু করে। নজরদারীর এক পর্যায়ে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম জানতে পারে যে, সংগবদ্ধ একদল ডাকাতচক্র ফেনী জেলার ফেনী সদর ও সোনাগাজী থানা এলাকায় ডাকাতির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে অদ্য ০১ এপ্রিল ২০২২ইং তারিখ রাত ০২০০ ঘটিকায় র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল এবং ফেনী জেলা পুলিশের সমন্বয়ে বর্ণিত এলাকায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করে আসামী ১। মহিন উদ্দিন প্রকাশ মুইন্যা (২৫), পিতা- মিন্টু মিয়া, সাং- দক্ষিন চাড়ীপুর, থানা- ফেনী (ভাসমান ঠিকানা), ২। মোঃ গিয়াস উদ্দিন (৩৩), পিতা- মৃত আব্দুল মালেক, সাং- জয়লস্কর, থানা- দাগনভূইয়া, ৩। মোঃ মনির (২২), পিতা- মৃত শফিকুর রহমান, সাং- মাতিয়ারা, থানা- ফেনী, সর্ব জেলা- ফেনী, ৪। আবু সুফিয়ান খোকন (৪৫), পিতা- সাইদুল হক, সাং- সমপুর, থানা- সোনাগাজী, ফেনী এবং ৫। মোঃ জামশেদ আলম (২৬), পিতা- সাহাবুদ্দিন, সাং- পালগিরী, থানা- সোনাগাজী, জেলা- ফেনীদের’কে আটক করে। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীরা উপরে উল্লেখিত ডাকাতির সাথে সরাসরি সম্পৃক্তার কথা অকপটে স্বীকার করে।
উল্লেখ্য যে, সিডিএসএস পর্যালোচনা করে ধৃত ১নং আসামী মহিন উদ্দিন মুন্নার নামে ফেনী জেলার ফেনী সদর ০২টি মামলা, ধৃত ২নং আসামী গিয়াস উদ্দিন এর নামে ফেনী জেলার দাগনভূঁইয়া থানায় ০২টি ও ফেনী সদর থানায় ০১টি মামলা, ধৃত ৩নং আসামী মোঃ মনিরের নামে ফেনী জেলার ফেনী সদর থানায় ০৪টি মামলা এবং ধৃত ৪নং আসামী আবু সুফিয়ান খোকনের নামে ফেনী জেলার সোনাগাজী থানায় ০১টি ও ফেনী সদর থানায় ০১টি মামলা রয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামী এবং উদ্ধারকৃত আলামত সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে ফেনী জেলার সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।