রৌমারী(কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার চরশৌলমারী ইউনিয়নে হতদরিদ্রদের মাঝে ভিজিডি চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১ এপ্রিল) সকাল ১০ টার দিকে উপজেলার চরশৌলমারী ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে দেখা যায় চাল বিতরণে জন প্রতি ১০০ থেকে ৫০ টাকা করে ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশে নেওয়া হচ্ছে
কার্ডধারীদের কাজ থেকে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, চরশৌলমারী ইউনিয়নে ৩৬৫ জন দুস্থ পরিবারকে ভিজিডি কর্মসূচির আওতায় প্রতিমাসে ৩০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। এতে ৩০ কেজি ওজনের প্রতিটি চালের বস্তা দেয়ার নিয়ম থাকলেও তা দেয়া হয়নি। নিয়ম অনুযায়ী চাল বিতরণ কালে একজন করে ট্যাক অফিসার থাকার কথা। কিন্তুু তা না করে অনিয়মে নিয়ম করে শুক্রবার এসব চাল বিতরণ করেন ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান দুলাল। টাকা নেওয়ার বিষয়ে ইউপি সচিব আতাউর রহমানকে ঘটনা স্থলে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান বড় কর্তার নির্দেশে টাকা নেওয়া হচ্ছে। অপর দিকে কার্ডধারীরা অভিযোগ করে বলছেন, শুরু থেকে এসব টাকা নাকি চাল আনার পরিবহন খরচ বাবদ নেওয়া হচ্ছে। তবে অনেকে বলেছেন, নাম করতেও ৫ হাজার টাকা লাগে চাল উঠাতেও টাকা লাগে তাহলে আমরা গরীব মানুষ কোথায় যাবো।
চরশৌলমারী ইউনিয়নের বাসিন্দা ভিজিডির চাল নিতে আসা দুঃস্থ মহিলা খাদিজা বেগম, খুরশিদা বেগমসহ আরো অনেকে অভিযোগ করে বলেন, প্রথম দুই মাস ১০০ শত টাকা করে দিয়েছি, পরের মাস থেকে বরাবরেই ৫০ টাকা করে দিয়ে আসছি। এ টাকা নাকি চালের বস্তা আনতে খরচ লাগে। এ দুঃখ কারে কমু। চরশৌলমারী ইউপি সচিব আতাউর রহমান বলেন, বড় কর্তার নির্দেশে এসব টাকা নেওয়া
হচ্ছে।
চরশৌলমারী ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান দুলালের সাথে কথা হলে তিনি জানান, সোজা কথা আমি জানি না। শুক্রবার চাল দেওয়ার নিয়ম নেই সচিব ভুল বসত দিয়ে ফেলছে। এক প্রশ্নের
জবাবে বলেন, ট্যাক অফিসার কে জানানো হয়েছে তিনি অসেনি। টাকা নেওয়ার বিষয়ে তিনি আরো বলেন, টাকা সবাই নেন তাই আমরাও নিয়েছি। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাজনীন আকতার বলেন, শুক্রবার এবং ট্যাক অফিসার ছাড়া ভিজিডির চাল বিতরণ করতে সরকারি ভাবে নিশেধ এবং পরিবহন খরচ বাবদ কোন দুঃস্থ মহিলাদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করতে পারবেনা। ভারপ্রাপ্ত রৌমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, বিষয়টি আমি জেনে ব্যবস্থা নিচ্ছি।