সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ফাহিমসহ ৪

ফারহান সিদ্দিক, সীতাকুণ্ড : সীতাকুণ্ড উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের গুলিয়াখালী গ্রামে চট্টগ্রাম শহর থেকে বেড়াতে আসা এবং বাড়ীতে উন্নয়নমূলক কাজ করতে গিয়ে স্থানীয় মাস্তানদের সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন দু’সহোদরসহ চারজন। চাঁদা না দেওয়ায় হত্যা চেষ্টার ঘটনা ঘটিয়েছে – দাবী মোঃ আজম খান এর। এ হামলায় মোঃ আজম খান এর বড় ছেলে চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আফতাব মাহমুদ ফাহিমের হাতের আঙ্গুল শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। একই ঘটনায় তার ছোট ছেলে তৌকি তাজওয়ারের হাতের কব্জি ভেঁঙ্গে গেছে।জখম হয়েছে আজম খান ও তার বড়ভাই মোঃ নুরুল আমীন(ব্যাংকার)।

বৃহস্পতিবার(১৪ এপ্রিল-২০২২ইং) দুপুর আড়াইটায় সীতকুণ্ডের মুরাদপুর ইউনিয়নের গুলিয়াখালী গ্রামে হত্যার উদ্দেশ্যে এই ঘটনাটি ঘটানো হয় এবং এটি পরিকল্পিত বলে দাবী করেছেন মোঃ আজম খান। আহত আজম খান ও তার দুই ছেলে চট্টগ্রাম শহর থেকে গুলিয়াখালী গ্রামে পৌঁছা মাত্রই অভিযুক্ত তাজুল ইসলাম কাজল ও খাইরুল ইসলাম বাদশা লোহার রড ও দেশীয় তৈরী অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। ভিকটিম আজম খান বলেন, চলতি শুষ্ক মৌসুমে আমরা গ্রামের বাড়িতে মাটি ভরাট করেছিলাম।কাজল-বাদশা তারা তখন কাজ চেয়েছিল আমার নিকট। তারা যেহেতু কাজের লোক নয় আমরা কাজ দেইনি। এরপর যখন বাড়ীর সীমানা প্রাচীর করেছিলাম তখনও কাজের ইজারা নিতে চেয়েছে। কিন্তু তাদের নেই মিস্ত্রী, নেই সরঞ্জাম। তাই আমরা তাদের কাজ দিই নাই।

তিনি আরও বলেন, কাজ না দেওয়ায় তারা আমার ভাই মোঃ নুরুল আমিনকে মারধর করেছে। মেরে তিন লাখ টাকা চাঁদা চেয়েছে। চাঁদা না দিলে আমাদের জানে মেরে ফেলারও হুমকি দিয়েছে। আজ দুপুরে আমরা বাড়ী পৌঁছা মাত্রই আমাদের ওপর হত্যার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিত হামলা করেছে । আমার পুরো শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আমার বড় ছেলের হাত থেকে আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ছোট ছেলের হাতের কব্জি ভেঁঙ্গে গেছে।

জানা গেছে, আজম খান, তার বড় ভাই নুরুল আমিন, আজম খানের দুই ছেলেকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে রেফার করে কর্তৃব্যরত চিকিৎসক। তারা বর্তমানে চমেক হাসপাতালে সার্জারী বিভাগে ২৬নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন। আহত মোঃ আজম খান এর ছোটভাই মুহাম্মদ ইউসুফ বাদী হয়ে সীতাকুণ্ড মডেল থানায় মামলা দায়ের করে আজ ১৫-০৪-২০২২ ইং বিকাল ৩ঘটিকায়। আসামীদের আইনের আওতায় এনে দৃস্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন মুহাম্মদ ইউসুফ।

সীতাকুণ্ড মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) আবুল কালাম আজাদ, ওসি তদন্ত সুমন বনিক যতদ্রুত সম্ভব আসামীদের গ্রেফতার করবার আশ্বাস প্রদান করেন। জানা গেছে, হামলাকারীরা এলাকার চিহ্নিত মাদক ও ইয়াবা ব্যবসায়ী এবং অবৈধ মাটী কাটার ব্যবসায়ী। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে থানায়। তারা কয়েক দফা কারাভোগ করে জামিনে এসে আবারও চাঁদাবাজিসহ এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বিরোধী বিভিন্ন কাজে জড়িত রয়েছে।