ব্ল্যাকমেইল করে জোরপূর্বক ধর্ষণের দায়ে সিলেট হতে ১২ বছরের এক কিশোরী উদ্ধারসহ ০১ জন ধর্ষণকারীকে আটক করেছে র‌্যাব-৭

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অশালীন ছবি আপলোড এবং ব্যক্তিগত মোবাইলে ছবি ধারন করতঃ ব্ল্যাকমেইল করে জোরপূর্বক ধর্ষণের দায়ে সিলেট হতে ১২ বছরের এক কিশোরী উদ্ধারসহ ০১ জন ধর্ষণকারীকে আটক করেছে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম।গত ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ ইং তারিখ মোস্তাফিজুর রহমান র‌্যাব-৭, চট্টগ্রামে অভিযোগ করেন যে, তার ভাগ্নি ভিকটিম সপ্তম শ্রেণীতে পড়াশোনা করছে। তার ভাগ্নি গত ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ ইং তারিখ ১৭০০ ঘটিকায় বাসা হতে আবাসিক ডি ব্লক এর উদ্দেশ্যে বাহির হয়ে পরবর্তীতে আর ফিরে আসেনি। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম ভিকটিমকে উদ্ধারের লক্ষ্যে ব্যপক গোয়েন্দা নজরদারী, আধুনিক ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার অব্যাহত রাখে। নজরদারীর এক পর্যায় র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম জানতে পারে যে, ভিকটিম সিলেট রেলওয়ে থানা এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ০১ জানুয়ারি ২০২১ ইং তারিখ ১১০০ ঘটিকায় বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ সুজন মিয়া (২৫), পিতা- মোঃ দিলু মিয়া, সাং- ঐহারদাশ, থানা- জগন্নাথপুর, জেলা- সুনামগঞ্জকে আটক করতঃ ভিকটিমকে উদ্ধার করে।

পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে কৌশলে ভিকটিমের মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে হোয়াটসঅ্যাপ, ম্যাসেঞ্জারে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রকার অশালীন ম্যাসেজের মাধ্যমে বয়সান্তের সুযোগ নিয়ে ভিকটিমকে মন্ত্রমুগ্ধ ও বশীভূত করে। এছাড়াও এক পর্যায়ে আসামী কৌশলে ভিকটিমের কিছু ছবি তার মোবাইলে সংগ্রহ পূর্বক সংরক্ষণ করে। আসামী ভিকটিমকে তার সাথে সিলেটে নিয়ে বান্ধবী তানিয়ার বাসায় একত্রে থাকার আইডিয়া দেয় এবং এতে যদি রাজি না হয় তাহলে আসামীর কাছে থাকা ভিকটিমের ছবি ফেসবুকে আপলোড করে দিবে বলে বিভিন্ন রকম ভয় ভীতি দেখায়। গত ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ ইং তারিখ ভিকটিমকে বিভিন্ন প্রলোভন ও ভয় দেখিয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে অপহরণ করে সিলেটে নিয়ে যায়। উদ্ধারকৃত ভিকটিম ও গ্রেফতারকৃত আসামীর সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।