মো.তাসলিম উদ্দিন সরাইল( ব্রাহ্মণবাড়িয়া) : ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ৩১২ আসনের সাংসদ ও সরাইল উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম (শিউলি আজাদ) এমপি বলেছেন, লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলার বিকল্প নেই। খেলাধুলা শরীর ও মনকে সতেজ রাখে। দেশকে এগিয়ে নিতে হলে শিক্ষার কোন বিকল্প নাই। শিক্ষার্থীরা দেশের শ্রেষ্ঠ সম্পদ। আরএ বিষয়টি মাথায় রেখে বর্তমান শিক্ষাবান্ধব সরকার শিক্ষা খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শিশুদেরকে ভালোবাসতেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা মমতাময়ী মা প্রধানমন্ত্রীও শিশুদের জন্য যা কিছু করা দরকার সবই করে যাচ্ছেন। সোমবার (৬ জুন) সকাল এগারোটা দিকে সরাইল উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল আজিজের সভাপতিত্বে সরাইল অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা প্রশাসনওশিক্ষা অফিসেরআয়োজনে উপজেলা আন্ত:প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ শেষে এমপি উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম শিউলি আজাদ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথাগুলো বললেন, এমপি শিউলি আজাদ বলেন,শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক অবস্থা থেকে ঐতিহ্যবাহী বাঙালি সংস্কৃতি ও খেলাধুলার সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ পেলে, তারা শারীরিক ও মানসিকভাবে সত্য ও সুন্দরকে ধারণ করতে শিখবে। তাদের এই সুযোগ করে দেওয়া সবার মিলিত দায়িত্ব ও কর্তব্য।
শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার পাশাপাশি সংস্কৃতি ও ক্রীড়াচর্চার মাধ্যমে একটি ইতিবাচক সমাজ গঠনের সুযোগ পাবে। ফলে পরবর্তী সময়ে তারা নেতিবাচক বা ক্ষতিকারক কোনো কিছুর সঙ্গে জড়িত হবে না। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষার পাশাপাশি প্রতিটি স্কুলে ক্রীড়া ও সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দেশের সম্মান বজায় রাখাতে স্বার্থে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিকে অধিক গুরুত্ব প্রদান করেছে।এ সময় এমপি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, শিক্ষার্থীদের উচিৎ লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা করা। তাতে মেধা বিকাশের সুযোগ পাওয়া যায়।আজকের এই শিশুরা আগামীদিনের ভবিষ্যৎ। তাই কোমলমতি শিশুদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে অভিভাবক ও শিক্ষকদের প্রতি আহব্বান জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন,সরাইল থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আসলাম হোসেন, উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো, মোস্তফা কামাল, সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো.নজরুল ইসলাম, সরাইল উপজেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মো. তাসলিম উদ্দিন, সরাইল সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কমিটির সভাপতি মো. শামসুল আলম প্রমুখ।প্রতিযোগিতায় উপজেলার ১২৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অংশগ্রহণ করে। পরে বিভিন্ন বিষয়ের উপর ভিত্তি করে ৪৮টি ইভেন্ট প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারী শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিবৃন্দ গণ।
পড়েছেনঃ ৭৩