
প্রেস বিজ্ঞপ্তি : ভুক্তভোগী ভিকটিম মোঃ মুছা মিয়া (৬০) এর বাড়ির পূর্বপাশে পাহাড়ী ছড়া হতে এলাকার লোকজন কৃষি জমিতে পানি সরবরাহ করত। এলাকার জনৈক মোঃ নাছির তার নিজের পানির মেশিন
দিয়ে ছড়া হতে কৃষি জমিতে পানি সরবরাহ করত। কিছুদিন পূর্বে পানি দেয়ার বিষয়কে কেন্দ্র করে নাছির এর সাথে এলাকার জনৈক আনোয়ার এর ঝগড়া হয়। উক্ত বিবাদ মিমাংসা করে দেওয়ার জন্য
মুছা মিয়া সহ স্থানীয় গন্যমান্য লোকজনের উপস্থিতিতে গত ০৫ মার্চ ২০২২ইং তারিখ সন্ধ্যা ০৭০০ ঘটিকায় একটি বৈঠক হয়। উক্ত বৈঠকে উপস্থিত মোঃ ইব্রাহীম খলিল@ জিসান ও তার
সহযোগী অন্যান্য লোকদের অসহযোগীতায় বিষয়টি মিমাংসা হয়নি। এরপর মুছা মিয়া বাড়িতে চলে আসেন। ঐদিন রাত আনুমানিক ০৮৩০ ঘটিকায় জিসান ও তার সহযোগী ৮/১০ জন সন্ত্রাসী
চাপাতি, কিরিচ, লোহার রড ও লাঠিসোটা নিয়ে মুছা মিয়ার বাড়িতে প্রবেশ করে তার বসত ঘরের টিন, পানির ট্যাংক ও ডিপমটর ভাংচুর করে ক্ষতিসাধন করে। মুছা মিয়া প্রতিবাদ করলে সন্ত্রাসীরা তাকে সহ পরিবারের সদস্যদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে চলে যায়।
ঐদিন রাত আনুমানিক ০৮৪৫ ঘটিকায় মুছা মিয়া তার ভাই নুরুল ইসলাম(৬৫)কে নিয়ে তাদের এক আত্মীয়ের বাড়ি হতে ফেরার পথে এয়াকুবনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিকট পৌছামাত্র
জিসান, রবিউল, আরিফ, আলমগীর এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৩/৪জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী তাদের পথরোধ করে আতর্কিত হামলা করে। এসময় সন্ত্রাসীরা মুছা মিয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে কিরিচ দিয়ে মাথা লক্ষ্য
করে কোপ দেয়। এতে মুছার মিয়ার বাম কানের মাঝ বরাবর রক্তক্ত হয় এবং ডান কান কেটে চামড়ার সাথে ঝুলে যায়। মুছা মিয়া মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাদের হাতে থাকা লোহার রড ও লাঠি দ্বারা
শরীরের বিভিন্ন স্থানে উপর্যুপুরি আঘাত করে। এছাড়া সন্ত্রাসীরা মুছা মিয়ার ভাই নুরুল ইসলামের মুখ ও শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করে ।
পরবর্তীতে মুছা মিয়া এবং নুরুল ইসলামের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা তাদেরকে হত্যার হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়। এরপর আশপাশের লোকজনের
সহায়তায় মুছা মিয়ার ছেলে মোঃ সাহেদ বেলাল গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে সীতাকুন্ড উপজেলা স¦াস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরবর্তীতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ ঘটনায়
ভিকটিমের ছেলে মোঃ সাহেদ বেলাল বাদী হয়ে চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করে যার মামলা নং-২৮, তারিখ-১০/০৩/২০২২ খ্রি. ধারা ১৪৩/৪৪৭/৪৪৮/৩৪১/৩২৩/৩২৬/৩০৭/৪৩৫/৪২৭/৫০৬-পেনাল কোড।
ঘটনার পর হতে আসামীরা আইন-শৃংঙ্খলা বাহিনীর হাত থেকে গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপন করে। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে ব্যাপক গোয়েন্দা
নজরদারী ও ছায়াতদন্ত শুরু করে। নজরদারীর এক পর্যায়ে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম জানতে পারে যে, উক্ত মামলার এজাহারনামীয় ০৪ নং আসামী মোঃ ইব্রাহীম খলিল@ জিসান (২৬) আইন-শৃংঙ্খলা বাহিনীর হাত
থেকে গ্রেফতার এড়াতে চট্টগ্রাম মহানগরীর আকবরসাহ থানার বিশ্বকলোনী এলাকায় আত্মগোপন করে রয়েছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে অদ্য ০৮ জুন ২০২২ খ্রি. তারিখ আনুমানিক রাত ০০১০ ঘটিকায়
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ ইব্রাহীম খলিল@ জিসান (২৬), পিতা-মোঃ জয়নাল আবেদীন, সাং-১নং ওয়ার্ড সীতাকুন্ড
পৌরসভা, থানা-সীতাকুন্ড, জেলা-চট্টগ্রামকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে গ্রেফতারকৃত আসামী উল্লেখিত মামলার এজাহার নামীয় পলাতক আসামী মর্মে স্বীকার করে এছাড়াও সিডিএমএস পর্যালোচনায় করে ধৃত আসামীর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড থানায় বিস্ফোরক, নাশকতা বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের ০৩টি মামলা পাওয়া যায়।
গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্থান্তর করা হয়েছে।