
বাদল রায় স্বাধীন, সন্দ্বীপ প্রতিনিধি: বর্তমান আধুনিক যুগে এসেও সন্দ্বীপের মানুষের বিনোদনহীন জীবন কাটছিল। বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে এখনো নেই কোন পার্ক, স্টেডিয়াম, যাদুঘর, সিনেমা হল বা সায়েন্স সিটি। অন্যদিকে সাবমেরিন ক্যাবলে সন্দ্বীপে বিদ্যুৎ আসলেও ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছানো এখনো সময় সাপেক্ষ ব্যাপার বলে ঘরে ঘরে টেলিভিশন দেখাও কপালে জুটেনা বেশীর ভাগ মানুষের। এতো হতাশার মাঝে এখন উপকূল রক্ষায় নির্মিত ব্লক বেড়িবাঁধ ও পাশাপাশি জেগে উঠা নতুন চর ও সাগরের সঙ্গমস্থলে দাঁড়িয়ে সুর্যাস্তের অপরুম সৌন্দর্য উপভোগ করা হয়ে উঠেছে ভ্রমন পিয়াসীদের বিনোদনের দারুন একটি স্পট। প্রতিদিন বিকেল বেলায় একটু প্রশান্তির ছোঁয়া পেতে হাজারো নরনারী কিশোর যুবা সহ পরিবার ও স্বজনদের নিয়ে ঘুরতে আসা মানুষের ঢল নামে রহমতপুর দলই পাড়া সংলগ্ন বিস্তীর্ন চরে । মুগ্ধ হয়ে দেখে চর ও সাগরের মিলনস্থলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। এবং উপভোগ করে তার পাশে ক্রীড়ামোদী যুবক ও কিশোরদের প্রতিনিয়ত ফুটবল টিমের আয়োজন।
অপরদিকে জোয়ারের সময়ে এখন ভ্রমন পিয়াসীরা কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত বা পতেঙ্গা সি-বিচের মধ্যে তেমন কোন পার্থক্য অনুভব করতে পারেননা। বরং তার সাথে প্রাকৃতিক সৌন্দয্য যোগ করে নতুন ব্যঞ্জনা। তাই এটিকে প্রশাসনের স্বদিচ্ছা ও স্থানীয় সাংসদের আন্তরিক মনোভাব পারে পুর্নাঙ্গ একটি বিনোদন স্পট বা পর্যটন এলাকায় রুপান্তর করতে, এমনটি জানালেন ঘুরতে আসা বিভিন্ন দর্শনার্থী। তাদের মধ্যে বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার কর্মকর্তা, প্রশাসনের লোকজন ও নারীরাও বললেন তাদের চমৎকার অনুভুতির কথা রাখলেন কিছু প্রস্তাবনাও ।সেগুলো হলো দীর্ঘক্ষন অবস্থান করা দর্শনারর্থীদের জন্য একটি গনশৌচাগার নির্মান, সন্ধ্যার পরও অবস্থান করার সুবিধার্থে কিছু স্ট্রিট লাইট স্থাপন,এছাড়াও পরিবেশ দুষন রোধে কিছু পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিয়োগ। নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশের টহল ব্যবস্থা ২/৪ জন আনসার নিয়োগ, বসার জন্য কিছু স্থায়ী ব্যবস্থা নিশ্চিত করা এবং ব্যক্তি উদ্যোগে কিছু হোটেল রেষ্টুরেন্ট সহ ভ্রাম্যমান ফুসকা, চটপটি ব্যবসায়ীকে বিনিয়োগে উৎসাহিত করা। এবং শিশুদের জন্য স্বল্প মুল্যে কয়েকটি নাগর দোলা স্থাপন করে প্রয়ােজনে সেগুলোতে টিকেট সিস্টেম চালুর মাধ্যমে খরচ পুষিয়ে আনা যেতে পারে। মাত্র কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে এই ব্যবস্থা গুলো নিশ্চিত করতে পারলে বাইরের পর্যটকদের আনাগোনা বাড়বে বলে সুশীল সমাজের অভিমত এবং এটির মাধ্যমে সন্দ্বীপকে বিশ্বের মাঝে নতুন ভাবে উপস্থাপন করা যাবে বলেও দৃঢ় বিশ্বাস অনেকের।অপরদিকে মানুষের মৌলিক অধিকারে সংযোজিত বিনোদনের সংবিধান স্বীকৃত অধিকার প্রাপ্তির বাস্তবায়নও ঘটবে তাতে। উল্লেখ্য যে ইতিমধ্যে সন্দ্বীপ থানা থেকে টিম টু নামে একটি পুলিশী টহল ব্যবস্থা নিশ্চিত করা ও ইউনিয়ন পরিষদ থেকে গ্রাম পুলিশ টহলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাই সম্পুন্ন নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে সবাই ঘুরতে আসার আহব্বান জানিয়েছেন তারা।