সরাইল সদর ইউপি সচিবের বিরুদ্ধে অনিয়মের  অভিযোগ

মো.তাসলিম উদ্দিন সরাইল( ব্রাহ্মণবাড়িয়া) : ছবিটি দেওয়া আছে সেবাগ্রহীতারা কেমনকরে বসে আছে  ইউপি সচিবের অপেক্ষায় এবং পরিষদের সচিবের উপস্থিতি ছবির এই দৃশ্যটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা সদর ইউনিয়ন। জানা যায় এখানে গত দুই মাস ধরে সচিবের দায়িত্ব পালন  করে আসছেন মোহাম্মদ  রুবেল মিয়া নামে এক ব্যক্তি তবে নিয়মের তোয়াক্কা না করে সরকারি নিয়ম ভঙ্গ করে নিজের ইচ্ছামতে কাজ করাতে ভোগান্তিতে পড়েছে অত্র ইউনিয়নের সাধারন জনগন সঠিক সময়ে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার পরিষদ কার্যালয় উপস্থিত থাকলেও প্রতিদিন দুপুর সাড়ে বারোটার আগ পর্যন্ত অনুপস্থিত দেখা যায় ইউপি সচিব মোহাম্মদ রুবেল মিয়াকে। যার কারণে সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষকে পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে। বুধবার সদর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় এর সামনে গেলে চেয়ারম্যান ও একজন ইউপি সদস্য বলেন, পরিষদের সচিব এখনো আসছে না অনেক লোক বসা এখন কয়টা বাজে পরিষদের সচিব  আসে নাই। উপজেলার সদর ইউনিয়ন,সচিব সময় মত না আসলে মানুষের কথা শুনতে হয়। ফোন দেন উনি কোথায় আছে। ফোন দিতেই  সচিব সাহেব ফোন ধরে বলে ভাই কেমন আছে।বললাম ভাই ভালো আপনি কোথায় আছেন। সচিব সাহেব উত্তরে বললেন আমি জ্যামে আটকে আছি আসতেছি। ফোনটা রেখে, চেয়ারম্যান ও মেম্বার সাহেব কে বললেন, উনি জ্যামে আটকে আছেন আসতেছে অপেক্ষা করেন। তখন বেলা ১১:৫১ এমন কথাই শোনাচ্ছেন।এ বিষয়ে সেবা নিতে আসা মাহফুজা নামের এক জন বলেন, একটা জন্ম সনদের জন্য এক সপ্তাহ ধরে ঘুরতেছি। সচিব সাহেবকে পাওয়া যায় না।
আজ সকাল ১০ টায় আইছি এখনো পর্যন্ত বসে আছি সচিব সাহেবের কোন খবর নেই। পাশে বসা সেবা নিতে আসা পারুল আক্তার বলেন, আমার জন্ম নিবন্ধন নাকি ভুল আসছে। আজকে কয়েকদিন ধরে আসতেছি সচিব সাহেবকে পাইনা। আজ সকাল থেকে বসা উনি না আসলে কাজটা কে করে দিবে। পারুলের মতো সকাল থেকে  ইউনিয়ন পরিষদে সচিবের জন্য বসে আছেন আরোওকয়েকজন। তাদের মুখে ও সচিব না আসার বিভিন্ন অভিযোগের  কথা জানালেন এমন করে যা ভিডিওতে ধারণ করা হয়েছে।

অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে সরাইল সদর ইউনিয়নের সচিব মোহাম্মদ রুবেল ভূঁইয়া বুধবার ৬ জুলাই দুপুর একটার দিকে ইউপি কার্যালয়ে উপস্থিত হলে তিনি বলেন, আমার বাসা থেকে আসতে রাস্তায় জ্যামে পড়েছিলাম। তাই আমার আসতে দেরি হয়েছে” তিনি বলেন, রাস্তায় জ্যামতো! ইউপি পরিষদের মেম্বার সদস্য মো. সাদেক মিয়া বলেন, সচিব সাহেব ব্রাহ্মণবাড়িয়া থাকেন সেখান থেকে আসেন। প্রতিদিনই এমন করে, আজ দশটা থেকে বইসা রইলাম। সচিব সাহেব বলতেছে জ্যামে আছে। তিনি বলেন, কয়েকদিন পরেই ঈদএ সময়তে সচিব সাহেবকে না পেয়ে সেবা নিতে আসা জন সাধারণের একটু কষ্ট হচ্ছে। মানুষের ঝামেলা বেশি এটা সদর ইউনিয়ন পরিষদ। সরাইল সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার  বলেন, সচিব সাহেব প্রতিদিন দেরিতে আসে। সচিব সাহেবের বাসা জেলা শহরে। আজ তো  ফোন দিয়েছি উনি বলছেন জ্যামে আছেন,উনি প্রতিদিনই বলে জ্যামে আছেন আসতেছি। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী পরিষদে নির্দিষ্ট সময়ে অফিসে উপস্থিত না হওয়ায় জনগণের যে ভোগান্তি পেতে হয় সে প্রশ্ন তিনি জানান,সচিব সাহেব দেরীতে আসেন এ ব্যাপারে আমি সং লিস্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.আরিফুল হক মৃদুল বলেন, সরকারি নিয়ম ভঙ্গ করে নিজের ইচ্ছামতে অফিস করবে তা হতে পারেনা। ইতিমধ্যে বিভিন্ন অনিয়মে সচিবকে শোকজ করা হয়েছে। নিয়মিত সাধারণ মানুষের সেবা পেতে যাতে সহজ হয় সে ব্যবস্থা ও নিবেন বলে জানান ইউএনও।

উল্লেখ্য, সরাইল উপজেলা সরাইল সদর ইউনিয়ন পরিষদে জনগণের সাধারণ সেবায় ভোগান্তি নিয়ে একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ তুলেছেন গণমাধ্যমের কাছে। দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে জনগণের দুঃখ দূর্দশা নিরসনে সংশ্লিষ্ট মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ইউপি সদস্যগণও  ইউনিয়নবাসী।