
মাসুদ পারভেজ : রৌমারী(কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় আসন্ন ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন স্থানে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। উপজেলার বিভিন্ন বাজারে সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে এমন চিত্র। বাজার গুলো যথাক্রমে রৌমারী সদর গরুর হাট, কর্তিমারী বাজার ও গ্রামগঞ্জেও বিক্রি হচ্ছে গরু, ছাগল ও মহিষ। বুধবার উপজেলার বিভিন্ন হাট ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতা-বিক্রেতা
কোরবানির পশু কেনাকাটা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। হাটে এবার কোরবানির যোগ্য দেশি গরু-ছাগলের সরবরাহও ভালো। ভারতীয় গরু নেই বললেও চলে। এবার ক্রেতাদের বেশি পছন্দ দেশি গরু।
তবে উপজেলার খামারিরা এবার ৪ লাখ থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের বেশ কিছু গবাদি পশু কোরবানিযোগ্য করে তুলেছেন।
জানা গেছে, ৩ থেকে ৪ বছর আগে উপজেলার হাটগুলোতে ভারতীয় গরু সরবরাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। যার কারনে গত ঈদে দেশি জাতের গরুর চাহিদা ছিলো কম। বর্তমানে দেশী গরুর
চাহিদা বাড়ায় খামারিদের মাঝে গরু লালন-পালনের ইচ্ছাও বেড়ে যায় দিগুন। বেশি লাভের আশায় খামারিরা গরু হাটে তুলতে শুরু করেছেন। অপর দিকে ক্রেতাদের দেশিজাতের সুন্দর সাইজের গরু
দেখে ক্রয়ের আগ্রহ বাড়ছে। একটি কোরবানির যোগ্য গরু কিনতে প্রায় ৮০ হাজার থেকে ৩ লাখ টাকার উপরে গরু বিক্রি করতে দেখা যায়। তবে এবার হাটে প্রচুর গরু উঠায় বিক্রয়ের দাম
কমার আশঙ্কা করছেন খামারিরা। বিক্রেতাদের মতে গরুর বাজার বর্তমানে ভালো। ক্রেতারাও সাধ্যের মধ্যে দেশি গরু কিনতে আগ্রহ করছে। ভারত থেকে গরু আমদানি হলে দেশীয় গরুর দাম কমে
যাবে এমন আশঙ্কা করছে খামারিরা। এদিকে সড়ক পথে,নৌকা যোগে ও ট্রাকে ট্রাকে রৌমারীর হাটে আসতে দেখা গেছে গরু মহিষ। ইজারাদারগণ কঠোর পরিশ্রম ও চেষ্টা করে পবিত্র কোরবানীর পশুর হাটটি সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চত করে জমিয়ে তোলার চেষ্টা করছেন চিলমারী উপজেলা থেকে আসা গরু ব্যবসায়ী সামছুল হক বলেন, বর্তমান কোরবানির হাটে আমাদের দেশীয় খামারীদের প্রায় সব গরু রয়েছে। এমন অবস্থায় থাকলে আমরা ব্যবসায় অনেক টাকা লাভ করতে পারবো।
এবিষয়ে জামালপুর জেলা থেকে আসা ক্রেতা হযরত আলী বলেন, বর্তমান বাজারে দেশীয় খামারীদের সুন্দর স্বাস্থ্যের গরু এসেছে। দামও খুব বেশী নয়। সাধ্যের মধ্যে রয়েছে। এবার কোরবানির গরু
কিনতে হিমশিম খেতে হবে না কাউকে। এব্যাপারে রৌমারী সদর হাট ইজারাদার সোয়েব আহমেদ সোহাগ বলেন, বর্তমান হাটে যে হারে দেশীয় খামারিদের গরু, ছাগল ও মহিষ উঠেছে। এখন পর্যন্ত ভারতীয় গরু হাটে আসতে দেখি নাই। বর্তমান বাজারের অবস্থায় এমন থাকলে হয়তো খামারীরা লাভবান হবে। এদিকে আমাদের হাটের জায়গায় সংকট থাকায় বিভিন্ন স্থানে পশুর হাট বসানো হয়েছে। অন্যদিকে পুলিশ সদস্যের সহায়তায় আইনশৃংখা এবং হাটের পরিবেশ সুন্দর রাখার চেষ্টা করছি।