সরাইল উপজেলার বিভিন্ন জায়গা সেজে উঠেছে কৃষ্ণচূড়ার লাল ফুলে

মো. তাসলিম উদ্দিন সরাইল( ব্রাহ্মণবাড়িয়া) :    এখন আর আগের মতো কৃষ্ণচূড়ার গাছ  দেখা যায় না। কয়েক বছর আগেও রাস্তার মোড়ে মোড়ে কৃষ্ণচূড়ার গাছ বসন্তের আগমনীর জানান দিত। সেই কৃষ্ণ চূড়ার গাছ এখন সরাইলে প্রায় বিলীনের পথে। প্রকৃতিতে শিমুল মানেই বসন্ত। তেমনই গ্রীষ্মকালের বাহার কৃষ্ণচূড়া ফুল। রাস্তার মোড়ে মোড়ে কৃষ্ণচূড়ার মনকাড়া গাছ। সবুজ চিকন পাতা। ফাঁকে ফাঁকে লাল লাল কৃষ্ণচূড়া ফুল। দেখলেই যেন চোখ জুড়িয়ে যায়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার প্রশাসন পাড়া’য় আজ প্রচন্ড খর তাপেও চোখ জুড়ানোর সাথে প্রশান্তি নিয়ে এসেছে অগ্নি রাঙা কৃষ্ণ চূড়া। কৃষ্ণচূড়া গ্রীষ্মের একটি অতি পরিচিত ফুল। গ্রাম কিংবা শহর এখন প্রায় সব খানেই প্রকৃতি প্রেমিদের হাতছানি দিচ্ছে বর্ণিল কৃষ্ণ চূড়া। কৃষ্ণ চূড়ার অপরূপ রূপে মোহিত হয়ে উঠেছে ভাবুক মন।
সরাইল সরকারি হাসপাতালের মসজিদের সাথে পুকুর পাড়ে ও চুন্টা ইউনিয়ন পরিষদের পিছনে বর্ণিল কৃষ্ণ চূড়ার ফুল লালে লাল করেছে এলাকা। তাই বাংলা কাব্য, সাহিত্য ও সংগীতে নানা উপমায় ব্যঞ্জনায় বরাবর উঠে এসেছে কৃষ্ণ চূড়ার ফুলের রূপ সৌন্দর্যের বর্ণনা। লাল রঙের সাজানো গাছের নিচে মাঠিতে ফুলের পাপড়ি, ফুলের বৃক্ষ টি এখন সরাইল উপজেলা প্রশাসন পাড়াসহ পাশ্ববর্তী গ্রামাঞ্চলের আনাচে কানাচে পথে প্রান্তরে আগের মতো চোখে পরছে না। অপরূপ সৌন্দর্যের কৃষ্ণ চূড়া ফুলের রূপ ছড়ানো দৃশ্য ও প্রশাসন পাড়া পুকুরের পাড়ে পরিষ্কার রাস্তার পাশে বসে সময় কাটানোর জন্য বিকেল অথবা সন্ধ্যার পর অনেকেই এসে বসেন।প্রশাসন পাড়া পুকুরের সৌন্দর্য বর্ধনে পুকুর পাড়ে  বসার এবং রাতের বেলায় আলোর ব্যবস্থা করলে ফীরে আসবে সৌন্দর্য এমন কথা অনেকেই বলেছেন।  পুকুরের পশ্চিম পাড়ে ছনের ছাউনি কাঠের একটি ঘর করা হয়েছে। এ সুন্দর্য অনেকের দৃষ্টি কেড়েছে। আজ (৩মে) বুধবার  দুপুর একটার দিকে অফিস পাড়া, গরমে তাপে নিরব, উপর দিকে তাকাতে’ই পুকুর পাড়ে গাছ চমৎকার পত্রপল্লব এবং আগুনলাল কৃষ্ণচূড়া ফুলের জন্য বিখ্যাত। পুকুরের উত্তর পার্শ্বে কৃষ্ণ চূড়ার গাছে ফুল এসে দৃষ্টিনন্দন করে তুলেছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে উপজেলা প্রশাসন পাড়া।