আখাউড়ায় কর্মমঠ সাইদুল চৌধুরীর উদ্যোগে অর্ধশতাধিক ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে নৌকা ভ্রমণ ও মাজার জিয়ার। 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের কর্মমঠ বাজারের চৌধুরী ডেকরেটর্সের প্রোপাইটার মোঃ সাইদুল চৌধুরীর উদ্যোগে নৌকা ভ্রমণ ও মাজার জিয়ারত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় ইউনিয়নের টানমান্দাইল স্টিলের ব্রিজের সামনে থেকে একটি বড় আকারের সুসজ্জিত নৌকার মাধ্যমে, নৌকা ভ্রমণ ও মাজার জিয়ারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু হয়। ভ্রমণে মনিয়ন্দ ইউনিয়নের ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের দুই জন জনপ্রতিনিধি সহ বিভিন্ন বয়সের প্রায় অর্ধ শতাধিক ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করে। শুরুতে অনেকের মধ্যে কিছুটা ভীতি কাজ করলেও চলার পথের রোমাঞ্চকর ও মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন তারা। নৌকায় চড়ে যেতে যেতে নদী পাড়ের অপরূপ দৃশ্যগুলো ছিল চোখে পড়ার মতো, ভিন্ন ধরনের নৌযান চলাচল, বেশ কয়েকটি বড় আকারের সেতু খুব কাছ থেকে দেখতে পেয়ে সবারই ভালো লেগেছে। ভ্রমনে বিনোদনের জন্য সাথে ছিল ডিজিটাল সাউন্ড সিস্টেম সমৃদ্ধ লুকোগীতি, ভাটিয়ালি, মুর্শিদি ও বাউল গানের ব্যবস্থা। সংগীতের তালে তালে নেচে গেয়ে অনেকেই আনন্দ করতে দেখা গেছে। এসময় বাউল সংগীত পরিবেশন করেন, জুমা সরকার, চাঁদনী সরকার সহ অন্যরা।
ভ্রমণটিকে স্মরণীয় করে রাখতে, আফরোজা ইন্টারন্যাশনাল এর স্বত্বাধিকারী জনাব শাহজাহান চৌধুরীর পক্ষ থেকে প্রত্যেককে একটি করে টি-শার্ট উপহার দেওয়া হয়েছে। পথে রসুলপুর পার্কে যাত্রা বিরতিতে দুপুরের খাবার পরিবেশন করা হয়। হাওড়া, তিতাস ও মেঘনা নদী পেরিয়ে বেলা শেষে নৌকা ভিরে হযরত দয়াল বাবা গনি শাহ (রহঃ) এর মাজার শরীফ ঘাটে। বৃহস্পতিবার হওয়ায় অন্যান্য দিনের চেয়ে সেদিন লোক সমাগম ছিল অনেক বেশি। হযরত গনি শাহ (রহঃ) এর মাজারের সু উচ্চ মিনার ও মাজারের সার্বিক পরিবেশ যে কারোরই মনকে নিয়ে যাবে অন্য এক জগতে। পরে যে যার মত করে মাজার জিয়ার ও আশেপাশের জায়গাগুলো ঘুরে দেখেন। রাতের বেলা ঘাটের সবগুলো নৌকায় চলে বাউল ও মুর্শিদি গান। পরদিন বাদ ফজর নৌকা চড়ে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা, আর দুপুরের মধ্যে ধরখার নৌকা ঘাটে পৌঁছার মধ্য দিয়ে নৌকা ভ্রমন ও মাজার জিয়ারত কার্যক্রমের সমাপ্তি হয় ।