
নোয়াখালীর দক্ষিনাঞ্চলীয় উপকূলীয় উপজেলা সুবর্ণচর। মাটিতে লবণাক্ততা না থাকা ও নিচু ভূমি হওয়ার কারণে উপজেলার চরক্লার্ক ও মোহাম্মদপুর ইউনিয়নে ব্যাপক হারে চাষ করা হয়ে থাকে ইরি বোরো ধান।
গত ৩ দিনের কালবৈশাখী ঝড়ের কারণে ধান পানিতে ডুবে যাওয়া সহ ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে এই অঞ্চলের চাষীরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলার ৮ ইউনিয়নে এবার ১৮ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বোরো ধানের ফলন ভালো হয়েছে। লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে বেশি ধান উৎপাদন হবে বলে আশা ছিল কৃষকের।
২৮ ধানের পাশাপাশি কাটা শুরু হয়েছে বিভিন্ন জাতের হাইব্রিড ধান। কষ্টে ফলানোর সোনার ফসল ঘরে তুলতে অনেকেই ব্যস্ত সময় পার করছিলেন। গেল কয়েক বছরের চেয়ে এবার উপজেলায় রোরো ধানের বাম্পার ফলনও হয়েছিল। বেশির ভাগ জমির ধানই পাকতে শুরু করেছিল। ধান ঘরে তুলতে দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন কৃষক-কৃষাণীরা। কিন্তু গত কয়েক দিনের কালবৈশাখী ঝড়ে যেন কৃষকদের সব স্বপ্ন বিলীন করে দিয়েছে।
চরক্লার্ক ইউনিয়নের কৃষক সিফাত জানান , জমিতে সব মিলিয়ে ১লক্ষ ২০ হাজার টাকা ব্যয় করে এখনো ১ টাকাও ঘরে তুলতে পারি নাই। কাটা ধান পানিতে পড়ে আছে, পানিতে থাকার কারণে ধান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টির কারণে লোকজনও কাজ করতে পারছে না।
মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের কৃষক মামুন জানা, বাতাসের কারণে ৩ একর জমির ধান মাটিতে শুয়ে পরছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ জানান, কৃষকরা ধান ক্ষেতের পানি বের করে দিতে পারলে তেমন ক্ষতি হবে না। দু’এক দিনের মধ্যে প্রখর রোদ হলে আংশিক ধান গাছ সম্পূর্ণ রুপে দাঁড়িয়ে যাবে। যেসব ধান পেকে গেছে সেগুলো অতি তাড়াতাড়ি হারভেস্ট করে পেলে।