
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারাই জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাদের আত্মত্যাগের বিনিময়েই আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল একটি স্বপ্ন নিয়ে। সমতা, ন্যায়বিচার, মানবিক মর্যাদা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন। মুক্তিযোদ্ধারা কখনো ভাতা বা ব্যক্তিগত প্রাপ্তির কথা চিন্তা করেননি। তারা জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন কেবলমাত্র এই দেশকে স্বাধীন করার জন্য। স্বাধীন হওয়া এদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
মঙ্গলবার সকালে নগরের থিয়েটার ইন্সটিটিউটে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এ কথা বলেন৷ অনুষ্ঠানে ১১০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধবা দেয় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন৷
এসময় চসিক মেয়র বলেন, “স্বাধীনতার ৫৫ বছরে আমরা কী অর্জন করেছি আর কী অর্জন করতে পারিনি— তা আমাদের আত্মসমালোচনার বিষয়। যেখানে ঘাটতি রয়েছে, সেখানেই আমাদের কাজ করতে হবে। কেবল আনুষ্ঠানিকতা রক্ষা করলে চলবেনা, মুক্তিযোদ্ধাদের যে আকাঙ্ক্ষা— একটি ন্যায়ভিত্তিক, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ— সেটাই আমাদের সার্বক্ষণিক লক্ষ্য হওয়া উচিত। তাদের আদর্শ আমাদের রাষ্ট্র পরিচালনা ও সমাজ গঠনের প্রতিটি স্তরে প্রতিফলিত হতে হবে।”
মেয়র বলেন, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের অবদানকে খাটো করতে ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টা হয়েছে। এজন্য নতুন প্রজন্মের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ছড়িয়ে দিতে রাষ্ট্রের দায়িত্ব হলো প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সম্মান নিশ্চিত করা এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃতির হাত থেকে রক্ষা করা।”
অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের হাতে ক্রেস্ট, সম্মাননা সনদ ও সম্মানীর অর্থ তুলে দেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। এর আগে মহান বিজয় দিবসে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
চসিকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিব মো. আশরাফুল আমিনের সভাপতিত্বে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণে আলোচনা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা একরামুল করিম, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ সংসদের আহ্বায়ক কমান্ডার শাহাবুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী। এতে চসিকের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


















