ICMAB-এর গবেষণা পুরস্কারে ভূষিত হলেন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. জাহিদুল

মাহমুদা নাঈমা ; জাককানইবি প্রতিনিধি:

 

বাংলাদেশের একাউন্টিং গবেষণায় উল্লেখযোগ্য অবদান রাখায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়) ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. জাহিদুল ইসলাম ‘ICMAB Research Excellence Award 2025’ অর্জন করেছেন।

গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর ) সন্ধ্যা ৭টায় ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে এই পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, চেয়ারম্যান ও সিনিয়র ট্রাস্টি, ব্র্যাক। এসময় ড. হোসেন জিল্লুর রহমান ড. মো. জাহিদুল ইসলামের হাতে সার্টিফিকেট তুলে দেন।

 

আইসিএমএবি সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের জুন থেকে ২০২৫ সালের জুন সময়কালে বাংলাদেশের একাউন্টিং বিষয়ে ইন্ডেক্সড জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা থেকে প্রাথমিকভাবে ৬৩টি গবেষণা প্রবন্ধ নির্বাচন করা হয়। পরবর্তী ধাপে কঠোর মূল্যায়নের মাধ্যমে সেখান থেকে ১৪টি গবেষণা প্রবন্ধ চূড়ান্তভাবে মনোনীত করা হয় এবং ৫টি পৃথক ক্যাটাগরিতে এসব গবেষণাকে পুরস্কৃত করা হয়।

 

মনোনীত গবেষণাগুলোর মধ্য থেকে চতুর্থ ক্যাটাগরিতে ড. মো. জাহিদুল ইসলামের গবেষণা পুরস্কার লাভ করে এবং আনুষ্ঠানিকভাবে সার্টিফিকেট অব অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।

 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফয়েজ এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এস. এম. আমানুল্লাহ।অনুষ্ঠানের কী-নোট স্পিকার ছিলেন ড. তারেক রানা, সহযোগী অধ্যাপক, আরএমআইটি ইউনিভার্সিটি, মেলবোর্ন, অস্ট্রেলিয়া। তিনি “Accounting and Finance Research in Emerging Markets: Trends, Gaps, and Future Research Directions” শীর্ষক বক্তব্য প্রদান করেন।

 

অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, জ্যেষ্ঠ শিক্ষাবিদ, গবেষক ও কর্পোরেট নেতৃবৃন্দসহ প্রায় ১৫০ জন অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া অনুষ্ঠানটি টেলিভিশন, জাতীয় দৈনিক ও প্রধান ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে প্রচারিত হয়।

 

উল্লেখ্য,বাংলাদেশের একাউন্টিং গবেষণায় উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে দ্য ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (ICMAB) এ পুরস্কার প্রদান করে থাকে। ২০২৫ সাল থেকে প্রথমবারের মতো আইসিএমএবি এই গবেষণা পুরস্কার কর্মসূচি চালু করেছে, যা বাংলাদেশের একাউন্টিং গবেষণার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও অনুপ্রেরণাদায়ক উদ্যোগ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।