
ডেস্ক রিপোর্ট : করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বিস্তারের পর থেকেই কর্মহীন অসহায় মানুষের জন্য সরকারের সহযোগিতার পাশাপাশি এগিয়ে আসছেন অনেকেই। কিন্তু কেউ বিনামূল্যে ঈদে শপিংয়ের ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন না। গত বছরের ন্যায় তাই গরীব, অসহায় ও দুঃস্থ মানুষদের জন্য সামাজিক সংগঠন দূর্বার তারুণ্য ‘ধনী-গরিব ভাই ভাই, ঈদ শপিং করব সবাই ‘ এই স্লোগানকে ধারণ করে “ফ্রি ঈদ শপিং ২য় বর্ষ” শীর্ষক ভিন্নধর্মী উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। শুক্রবার ( ২৯ এপ্রিল ) চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহরের গরীবে নেওয়াজ উচ্চ বিদ্যালয়ে দূর্বার তারুণ্য এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ আবু আবিদ এর সভাপতিত্বে কার্যক্রমটি পরিচালিত হয়। দূর্বার তারুণ্য এর ‘ফ্রী ঈদ শপিং’ উদ্যোগের মাধ্যমে ৩ হাজারের অধিল গরীব বা অসহায় মানুষ নিজের ইচ্ছে, পছন্দ ও সাইজ অনুসারে ঈদ বস্ত্রের যেকোন একটি সামগ্রী বিনামূল্যে নিতে পারবেন।
‘ফ্রি ঈদ শপিং’র উদ্যোক্তা ও সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ আবু আবিদ বলেন, গত বছরের ন্যায় এ বছরও আমরা সমাজে পিছিয়ে পড়া মানুষদের জন্য বিনামূল্যে এই শপিং এর ব্যবস্থা করেছি। অনেকেই জাকাতে কাপড় দিয়ে থাকেন। আমাদের সবার আগে চাওয়া হল- একজন মানুষ যেন কখনও সহযোগিতায় নিতে হীনমন্যতায় না ভোগে। অনেক পথ শিশু এখান থেকে শপিং করবে, যাদের কাছে গতকাল শপিং করাটা শুধুই ছিল স্বপ্নের বিষয়। আমরা স্বপ্নগুলোকে সত্যি করার চেষ্টায় আছি। বিগত ২ বছর ধরে প্রকল্পগুলোর ন্যায় দূর্বার তারুণ্য এই প্রকল্পেও প্রায় ১ হাজারের অধিক মধ্যবিত্তদের রাতের আধার ঈদের বস্ত্র পৌঁছে দিয়েছেন বলে উদ্যোগক্তাসূত্রে জানা গিয়েছে।
এসময় অতিথি হিসেবে ফ্রি ঈদ শপিং এর দোকানগুলো পরিদর্শন করেন করোনা প্রতিরোধক বুথের উদ্ভাবক হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর, মহানগর যুবলীগ নেতা দেবাশীষ পাল দেবু, সমাজসেবক মুহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও গরীবে নেওয়াজ উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানোজিং কমিটির সদস্য মোঃ জসীম উদ্দিন। আরও উপস্থিত ছিলেন মুহাম্মদ আবু আদিল,শেখ আরিফ উল্লাহ চৌধুরী,মোঃ সাকিফুল ইসলাম, মোঃ কামরুল ইসলাম,নাজমুল হুদা,জিহাদুল ইসলাম ,রবিউল হাসান, রিদয় হাসান মল্লিক ,সৈকত শর্মা পাপ্পু,এ আর তাইমন,শেখ মাহমুদ সাদির,অভিজিৎ চক্রবর্তী,মমতা আফরোজ ,মুশতারী তাবাসসুম ,তাইমন হাসান,হাকিমুল হাসান সাকিব,মারুপ আল হাসান ,মুশফিকুর রহমান অপু,হযরত আলী মোবারক , রবিউল ইসলাম চৌধুরী ,হিমেল সেন হিমু,আলী হামজা রিদয় ,তানজিদ তাহসিনসহ দূর্বার তারুণ্য এর কেন্দ্রীয় ও জেলার নেতৃবৃন্দ।